Quantcast
Channel: Bangladesh Study Forum
Viewing all 635 articles
Browse latest View live

বুক রিভিউ : লালসালু

$
0
0

ধর্মীয় গোড়ামী ও কুসংস্কারকে পুঁজি করে,ধর্মের মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সমাজে কালের গতিতে যে কিছু অসাধু লোক (ধর্মব্যবসায়ী) উদ্ভব ঘটে তারই প্রতিচ্ছবি “লালসালু”। লেখক “লাল সালু” উপন্যাসে মানুষের সীমাহীন দুঃখ,বৈকল্য,কপটতা ও মিথ্যাকে উন্মোচন করেছেন এবং জীবনের প্রত্যয় ও শিল্পবোধের নতুন রুপ ফুটিয়ে তুলেছেন। ভাগ্যান্বেষী মজিদের জীবনের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা, প্রাপ্তি ও সংগ্রামের কাহিনী নির্মাণ করতে গিয়ে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পূর্ববাংলার গ্রামীণ সমাজের বাস্তবসম্মত ও শৈল্পিক চিত্র অঙ্কন করেছেন।

এ উপন্যাসে তিনি এমন এক গ্রামীণ সমাজের চিত্র এঁকেছেন যেখানে পূর্ববাংলার কৃষিভিত্তিক শ্রমনিষ্ঠ, সহজ-সরল ধর্মপ্রাণ মুসলমান সমাজের মানুষ বিভ্রান্ত হয় এক কপট ধর্ম ব্যবসায়ী দ্বারা।একটি কৃষিপ্রধান গ্রামীণ সমাজে মজিদ তার অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য খুব সহজেই ধর্মের বীজ বপন করতে সক্ষম হয়। কারণ সেখানে ‘শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের চেয়ে আগাছা বেশি।’
গভীর জীবন সমস্যায় জর্জরিত মজিদ জীবিকা অর্জনের মৌলিক প্রয়োজন থেকেই ধর্ম ব্যবসার পথ বেছে নেয়। আমরা দেখি মহব্বত নগর গ্রামের মজিদের প্রবেশ ঘটে নাটকীয়ভাবে। তাহের ও কাদের যখন মাছ ধরছিল তখন তারা মজিদকে দেখতে পায় মতিগঞ্জের সড়কের ওপর মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে মোনাজাতরত অবস্থায়। এরপর গ্রামে ঢুকে অজানা এক ভাঙা কবরকে মোদাচ্ছের পীরের কবর হিসেবে চিহ্নিত করে এবং স্বপ্নাদেশ পেয়ে সেখানে এসেছে এ মিথ্যা কুহক বিস্তার করে গ্রামের মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে সুকৌশলে সম্পদ ও ঐশ্বর্য শিকারে লিপ্ত হয়। মজিদ এবং তার শিকার ধর্ম বিশ্বাসে অনড় এ সহজ-সরল গ্রামীণ মানুষ। যে সমাজে নানারকম কুসংস্কারে আচ্ছন্ন, সেখানে মিথ্যাকে সুকৌশলে দ্রুত বিস্তার ঘটানো সম্ভব করে তোলে মজিদ।
আধুনিক ছোয়ায় উজ্জীবিত আক্কাস মিয়ার স্কুল করার প্রয়াসকে সুকৌশলে মসজিদ নির্মানের কথায় ব্যর্থ করা, বাপ-বেটাকে ক্ষমতার দাপটে প্রকাশ্যে বাজারে কয়েক মিনিটের মধ্যে খতনা করা এবং দুদু মিয়াকে ধমক দিয়ে বলে “কলমা জানো মিয়া” এ রকম কার্যলাপের মাধ্যমে নিজের প্রতিপত্তিকে আরো শক্ত করে।

ধর্মকে পুজি এবং লালসালুতে আবৃত অজানা মোদাচ্ছেরের মাজারকে কেন্দ্র করে মজিদের পুজিবাদের কারখানা গড়ে ওঠে।যে কারখানায় সাধারণ মানুষের সরলতা ও নিরক্ষরতা ছিল কাচামালের মতো। পূর্ববাংলার গ্রামীন সাধারণ মানুষের ধর্মভীতি বেশী থাকায় সহজে প্রলোভন খাটিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তোলে। গারো পাহাড় থেকে চলে আসা মজিদের নিজেকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী ও কামতৃঞা মিটানোর জন্য সময় এবং পরিবেশের সাথে নিজেকে নতুন মোড়কে বদলিয়ে ফেলে। ধর্মের প্রতি নিজে নিষ্ঠ না হয়ে গ্রামবাসীর মনে কৌশলে ধর্মভাব জাগিয়ে তাদের শাসন ও শোষণ করা ইত্যাদি বিষয়গুলো মজিদ চরিত্রে উজ্জ্বলভাবে ফুটে উঠেছে।

মজিদ তার অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে অর্থনৈতিক মেরুদন্ডকে সোজা করার জন্য ধর্মের ছদ্মাবরণে প্রভাব প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একদিন গারো পাহাড় থেকে মহব্বত নগর গ্রামে এসেছিল। তার উদ্দেশ্যও সফল হয়েছিল অর্থ-প্রতিপত্তি, ক্ষমতার দাপট এং নারী শরীর সবই পেয়েছিল কিন্তু কালের বিবর্তনে একদিন নড়বড়ে অস্তিত্ব নিয়ে ফসলের ধ্বংসস্তূপের পাশ দিয়ে সে হাঁটছে। এটাই হয়তো সময়ের স্বার্থবাদীতা ? মজিদ জানে না তার এ হাঁটার শেষ কোথায়? পিছনে রেখে যায় জমিলা,রহিমা,খালেক ব্যাপারী ও গ্রামের নিরীহ মানুষ। পরিশেষে দেখতে পারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগে শুধু ফসলেরই ক্ষতি হয়নি সেই সঙ্গে মজিদের মনস্তাত্বিক পরিবর্তনও হয়েছিল এবং যোগ হয়েছিল নতুনমাত্রা
প্রতারণাটুকু বাদ দিলে পুজিহীন ব্যবসার অন্যতম ব্যবসা হল ধর্ম ব্যবসা। হবেই বা না কেন, লাল সালুতে আবৃত শুধু নিরব মাজারটিই ঢাকা নয়, তার সঙ্গে ঢাকা আমাদের আমাদের বুদ্ধিমত্তাটুকু। ক’জন যাই নি অসুখ-বিসুখে ডাব পড়া পানি নিতে ও সাদা/লাল ফিতা আনতে। ক’টা লোক মানত করিনি মোমবাতি,টাকা-পয়সা ও লাল কাপড়ে দৃষ্টি নিবদ্ব করে। এখন চিন্তা করে দেখুন আসলে অসুখটা কার? লাল সালুর?
না,আমি বলব আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির,আমাদের বিশ্বাসের,আমাদের সচেতনতার।

আজও কিন্তু আমাদের এই দেশ এই ব্যবসা থেকে মুক্তি পায়নি বরং এই রোগ আমাদের আরো চেপে ধরেছে। আর ঠিক সেই দিক থেকে সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর “লাল সালু” এক অসাধারণ লেখা।

 

লেখক : ওয়ালী উল্লাহ

The post বুক রিভিউ : লালসালু appeared first on Bangladesh Study Forum.


প্রথম টি-টুয়েন্টি শেষ করা ওরা ১৩ জন!

$
0
0

গত এপ্রিলে শুরু হয়েছিল আমাদের প্রথম টি-টুয়েন্টি। মানে দুইমাসে বিশটি বই পড়ার চ্যালেঞ্জ! অনেকেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন। কেউ কেউ অর্ধেক শেষ করতে পেরেছেন, কেউ কেউ এক-দুটোর জন্য টার্গেট শেষ করতে পারেন নি। তবে আমাদের এই প্রয়াসটা এমন একটি উদ্যোগ ছিল যেটাতে কেউ আসলে ব্যর্থ হন না। টি-টুয়েন্টিকে টার্গেট করে যারা ৫ টি বা ১০ টি বইও শেষ করেছেন তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। ভবিষ্যতে এ অভিজ্ঞতা আপনাদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই! তবে যারা গত দুইমাসে বিশটি বইয়ের টার্গেট শেষ করতে পেরেছেন তারা নিজেকে এক মহিমান্বিত অর্জনের ভাগিদার বানিয়েছেন। বিশটি বই পড়ার টার্গেট অর্জন করা সেই ১৩ জনকে নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন!

001: Sabidin Ibrahim

১

Simply Sabidin

এই ভদ্রলোক অনেক পড়ার দাবি করেন এবং প্রায় এক দশক ধরে বিদ্যা চর্চায় ব্যাপক সময় দিয়েছেন। কিন্তু তেমন বিদ্যা ফলাতে পারেননি। মাত্র একটি বই লিখেছেন এই দীর্ঘ সময়ে। পড়ার সাথে সাথে আরও লিখবেন এই আশায় তাকিয়ে আছে জনগণ!

002: Rownok Jahan

Rownok Rowshans!

Rownok Rowshans!

মানুষ দ্রুত নিজের মধ্যে যে পজিটিভ পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে তার উজ্জল উদাহরণ রওনক জাহান। তার নামের মধ্যেই যে পৃথিবী আলোকিত করার বিষয়টি আছে। সে ওই পথেই যাচ্ছে যেটা আমাদের জন্য আনন্দের ব্যাপার, বিশ্বের জন্যও। রওনক নিজেকে আলোকিত করার সাথে সাথে জগতকে আলোকিত করবে এই প্রত্যাশা স্টাডি ফোরামের!

003: Ahmed Din Rumi

Rumi Rides High!

Rumi Rides High!

আহমেদ দিন রুমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তরুন তুর্কির কবিতা আপনাকে ছুঁয়ে যাবে, এক অপার আনন্দের স্বাদ দেবে। একজন অসাধারণ পাঠক, অনুভূতিশীল লেখক। ভবিষ্যতে সে অনেক দূরে যাবে এর সমূহ লক্ষণ নজরে পড়ছে।

004: Wali Ullah

Wali Ullah

Awesome Wali!

এই সুদর্শন তরুনকে দেখলে টম ক্রুজের কথা মনে চলে আসবে! সুন্দর চেহারার সাথে সাথে তার রয়েছে সুন্দরতম মন! আছে স্বপ্ন দেখার দুঃসাহস, নিজেকে ভাঙ্গার-গড়ার আকাঙ্খা। যে পথে যাত্রা শুরু করেছে সেটা অনেক দূরের। শুরুর এই দম অক্ষুণ্ন থাকলে ওয়ালি উল্লাহ আগামীর একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবিভূর্ত হবেন নিঃসন্দেহে!

005: Abdullah Al Roman

Roman Thinking N Rethinking!

Roman Thinking N Rethinking!

বিশ্বসাহিত্যের নতুন সব উপন্যাস পান্তাভাতের মতো পড়ে শেষ করে ফেলে এই তরুন। ইংরেজি বা বাংলা দুটোতেই দুধারী তলোয়ারের মতো কাটে! পছন্দ করেন বইয়ের কোন চরিত্রের মধ্যে ঢুকে যেতে। এজন্য ফেসবুকে তার প্রোফাইলের নামের মধ্যে বিভিন্ন উপন্যাসের বিভিন্ন চরিত্রকে দেখলে অবাক হবেন না!

006: M Sohel Rana

Sohel Rana

Sohel Under Shades!

টি-টুয়েন্টি চ্যালেঞ্জ-এ সফল হওয়ার জন্য কতটা দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিল সোহেল তার প্রমাণ হচ্ছে বেড়াতে গিয়ে বাড়িতেও ৫ টি বই নিয়ে যাওয়া। নদীর পাড়ে, ঘরের কোণে সবসময় বই নিয়ে পড়ে থাকার বিষয়টি তার পরিবারের সবাইকে বিস্মিত করেছে। কিন্তু কাউকে কোন পাত্তা দেয়ার যে সময় নেই! দুইমাসে বিশটি বই শেষ করতে গিয়ে পঁচিশটি শেষ করে ফেলেছেন! পদার্থবিদ্যার এই ছাত্র পদার্থবিজ্ঞানের সাথে সাথেও সাহিত্য ও ইতিহাসের প্রতিও ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছেন। তার এই ভালোবাসা অক্ষুণ্ন থাকুক।

007: Sagar Barua

Sagar

Sagar vs Sagar!

জিরো জিরো সেভেন বললেই দুর্ধর্ষ জেমস বন্ডের কথা মনে আসবে, তাই না! সাগর বড়ুয়াও বাংলাদেশ স্টাডি ফোরামের জিরো জিরো সেভেন জেমস বন্ড! কোন দায়িত্ব নিলে এর শেষ না করে ইস্তফা দেন না। স্টাডি ফোরামের সুসময়, দুঃসময় ম্যানেজ করে একেবারে জেমস বন্ডের মতো ঠান্ডা মাথায়! সাগর বড়ুয়া বলতে এমন একজন ব্যক্তিত্বকে বুঝায় যার উপর নির্দ্বিধায় নির্ভর করতে পারেন! বাংলাদেশ স্টাডি ফোরাম এমন ঠান্ডা মাথার অসাধারণ সংগঠকের কাছে অনেক প্রত্যাশা করে। আশা করি তিনি সে প্রত্যাশা পূরণের দিকেই আগাচ্ছেন!

008: Shafquat Alam Akhi (Elsa Elsa)

akhi

Elegant Elsa!

ফেসবুকে নাম তার এলসা এলসা! কে সেই এলসা? ইতিহাস খুঁজে দেখতে পারবেন আইনস্টাইনের প্রেমিকা ও পরবর্তীতে স্ত্রীর নাম ছিল এলসা। তিনি কি সেই এলসার নামকে স্মরণ করছেন না বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ মাছের বৈজ্ঞানিক নামের কাছাকাছি যেতে চেয়েছেন সেটা গবেষকদের গবেষণার বিষয়। তিনি অনেক সুন্দর করে কথা বলা কিংবা আশেপাশে সুন্দর হাসি ছড়িয়ে দেওয়ার সাথে সাথে বেশ পড়তে পারেন তার প্রমাণ দিয়ে ফেলেছেন গত দুই মাসে গোপনে গোপনে বিশটি বই পড়ে শেষ করার মাধ্যমে!

009: SM Shahadat Zaman

Shahadat

Shining Shahadat

তীরের মতো সোজা-লম্বা শাহাদাতের ফেসবুক নামও শাহাদাত তীরন্দাজ! তার কথা অন্তর্ভেদী, লেখা মর্মস্পর্শী। খুবই ধীরে-সুস্থ্যে ব্যাটিং করে টি-টুয়েন্টি শেষ করে ফেললেন শাহাদাত সাহেব! আশা করি তিনি স্টাডি ফোরামের ওডিআই ও টেস্ট টিমেও জায়গা করে নেবেন!

010: Rohul Amin Dipu

Dipu

Deeper Dipu!

দীপুর নাম মনে আসলেই চলে আসবে ক্ষ্যাপা বাসুর কথা! তিনি সবসময়ই ক্ষেপে থাকেন; কারণে, অকারণে! মুখের উপর টস করে বলে দেবেন নিজে যেটা সত্যি মনে করেন! স্টাডি ফোরামকে নিজের গার্ল ফ্রেন্ড মনে করা এই ভদ্রলোক কাজ করে যান নিরন্তর! রাগটা একটু কমিয়ে পড়াশুনার কাজটা একটু বাড়ালে তিনি অনেক বড় হবেন এ কথা সবার বিশ্বাস!

011: Mehadi Arif

Mehadi

Dashing Mehadi

অনেক আগে থেকেই মেহেদী আরিফ একজন ঝানু পাঠক! তার ছন্দময় কথা যে শুনে প্রেমে পড়ে যায় আর বাংলা ইংরেজি দুটোতেই লিখে যাচ্ছেন সজোড়ে! সবসময় ব্যস্ত থাকা এই মানুষটি তার ব্যস্ততার খাম থেকে কিছু সময় স্টাডি ফোরামে দেবেন এই প্রত্যাশা সবার। আর পড়ার প্রতি তার যে দুর্দমনীয় ক্ষুধা রয়েছে সেটা চালিয়ে যাক, তাহলেই দেশ ও দশের মঙ্গল!

012: Akteruzzaman Rony

Rocking Rony!

Rocking Rony!

আকতারুজ্জামান রনি এমন একজন ব্যক্তিত্ব যাকে সম্মান করতে হবে আপনি বয়সে বড় হউন বা ছোট হউন! তিনি একজন অসাধারণ সংগঠক। তরুণদের অনুপ্রাণিত করতে পারেন এক নিমিষেই। অসংখ্য তরুণের জীবন পাল্টে দেওয়া রনি স্টাডি ফোরামে তার সক্ষমতা দেখানো শুরু করেছেন। অনেক দূরে যাওয়ার জন্য রসদ নিচ্ছেন!

013: Imran Nafis

Nicey Nafis!

Nicey Nafis!

যদিও তার নাকি কান্না মাঝেমাঝে আপনাকে বিরক্ত করবে কিন্তু তার হাসি দেখলে গলে যাবেন! সুদর্শন ইমরান নাফিজ সব ধরণের গান গেয়ে আসর মাতাতে পারেন। অভিনেতা ও শিল্পী হবার আকাঙ্খা ভদ্রলোকের। এরই মধ্যে স্টাডি ফোরামের শিল্পী হিসেবে অবস্থান তৈরি করে ফেলেছেন। সামনে দেশ জয়ের প্রস্তুতি চলছে।

ফিচার ফটোটি গত বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টাডি ক্যাম্পে যাওয়ার পথে তোলা। ছবিতে টি-টুয়েন্টি শেষ করতে পারাদের বেশ কয়েকজন আছেন। 

The post প্রথম টি-টুয়েন্টি শেষ করা ওরা ১৩ জন! appeared first on Bangladesh Study Forum.

বই পরিচিতি: গাভী বিত্তান্ত

$
0
0

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব, রাজনীতি, স্বার্থপরতার বাইরে নিস্ক্রিয় থেকেও মিয়া মোহাম্মদ আবু জুনায়েদ পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারনে একপ্রকার হঠাৎ করেই উপাচার্য নিযুক্ত হন। সেইসাথে তার নিজস্ব জীবন যাপনেও আসে আমূল পরিবর্তন।

বিভিন্ন সমস্যা নিরসন, সামগ্রিক উন্নয়ন, মিটিং মিছিল ও দলীয় সহকর্মীদের অসন্তুষ্টি সামলে উঠতে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন, ক্ষমতা লাভের চেয়ে তার সদ্ব্যবহার করা সত্যিই কঠিন। কখনো কখনো তিনি বেশ হাপিয়ে ওঠেন। নিজের আমিকে মেলে ধরার মত একজন কাছের কেউকে খুঁজে পান না।

মিসেস জুনায়েদ বা তার স্ত্রী বানু দায়িত্ব ও নিষ্ঠাবান স্বামীর গুনমুগ্ধ না হয়ে অতীত সময় বিয়ের প্রথম জীবনের স্মৃতি রোমন্থনে বেশি ব্যস্ত!
বানুর বাবা মেয়ে জামাইকে পড়াশুনার খরচ না যোগালে আবু জুনায়েদ আজ উপাচার্য হতে পারতেন না-তা মনে করিয়ে দিতে এবং সে জন্য স্ত্রীর প্রতি সামান্য অবহেলায় আবু জুনায়েদকে নিজমনে ও উচ্চস্বরে সারাক্ষণ গালমন্দ করা তার নিত্যনৈমত্তিক কাজের মধ্যেই পড়ে। আর অবসর যেন মেয়ে ও চাকর-বাকরদের ত্রুটি খুঁজতেই কেটে যায়!

অবশ্য আবু জুনায়েদ সেসব খেয়াল না করেই নিজের দায়িত্বের প্রতি বেশি মনোযোগী হন। নিজের সততায় উপার্জিত অর্থে জমি কেনার বাসনা তার অনেকদিনের, আর একটি গাভীর স্বপ্ন। উপাচার্য হবার আগে অবসরে তিনি দালালদের সাথে জমি দেখে ও দরদাম করে কটাতেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মানী ছাড়া বাড়তি উপার্জন না থাকায় সে বাসনা যেন অপূর্ণই থেকে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকাদার ব্যবসায়ী ও সম্পর্কে মিসেস জুনায়েদের চাচার পরিবারের সাথে জুনায়েদ পরিবারের হঠাৎ সখ্যতা বেশ বেড়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ঠিকাদার ব্যবসায়ীর দামী গাড়ি, আলিশান বাড়ি, বাড়িতে জাকঁজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান ও নামীদামি অতিথিদের আনাগোনা। কিন্তু মানুষ হিসেবে বানুর চাচাকে ভীষন পছন্দ হয় আবু জুনায়েদের। তাই অকপটে মনের কথা বলেন। আর এতেই দৃশ্যপট পাল্টে যায়।

উপাচার্যের বাসভবনের পেছনে তৈরি হয় গোয়ালঘর। বানুর চাচা নিজ মেয়ে জামাইকে গাভী নিবাস তৈরির দায়িত্ব দেন। নরওয়ের বাবা ও অস্ট্রেলিয়ান মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া রূপবতী গাভী “তরনী”র ঠাঁই হয় এতে। আবু জুনায়েদ সকালে বেরিয়ে যাবার আগে কাজ শেষে বাড়ি ফিরেই চলে যান গাভী নিবাসে। তরনীও কখনো দাঁড়িয়ে, জিব দিয়ে হাত চেটে, ঘাড় নেড়ে মেনে নেয় মানুষ বন্ধুটিকে! তরণীর সাথে কাটানো সময়ে আবু জুনায়াদ ক্লান্তিহীন অনুভব করেন। মায়াকাড়া বোবা প্রাণীটিকে তার নিজেরমত ও ভীষন আপন মনে হয়।

গাভীনিবাসের পরে পাখিনিবাসও তৈরি হয়। এদের ঘিরে বসে আড্ডা। তার মতই রাজনীতি বিমুখ সহকর্মীরা যোগ দিতে থাকেন আড্ডায়। আবু জুনায়েদ নিজের প্রয়োজনীয় কাজ সারেন গাভীনিবাসে বসেই। এখানে নিজের স্বার্থোদ্ধারে চলে আসেন, তার প্রতিপক্ষ দলের সহকর্মী ও শীর্ষস্থানীয় পদহারা গুন্ডা ছাত্ররাও। তরণীকে নিজ সৌভাগ্যের চিহ্ন ভাবতে শুরু করেন।

অপরদিকে তরনীকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে শুরু করেন মিসেস জুনায়েদ বা বানু। তার অলস মস্তিষ্ক, জড় হৃদয় নিজেকে অবলা, অসহায় ও নিঃসঙ্গ ভাবতে থাকে। অবশ্য বড় মেয়ে, নাতি আর জামাইকে নিয়ে বেড়াতে এলে, কিছুকাল নিঃসঙ্গতা কাটিয়ে উঠলেও তারা চলে যেতেই তিনি বড় বেশি একা হয়ে পড়েন। এদিকে গোয়ালঘরে নির্জনে নিজের ছোট মেয়ে ও “তরণী”কে উপহার প্রদানকারী চাচার মেয়ে জামাইয়ের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত তিনি একেবারেই সহ্য করতে পারেন না। আবু জুনায়েদকে বিষয়টি বলে হালকা হবেন তাও পারেন না, তরনীর জন্য। আবু জুনায়েদ ও মিসেস জুনায়েদের মধ্যে তরনী যেন বহুকাল আগের গড়া মজবুত দেয়াল হয়ে দাড়াঁয়।

মানসিক চাপ,একাকীত্ব, অহংকার ও প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলে মিসেস জুনায়েদ একটি বোবা প্রাণী তথা “তরণী”র কাছে হেরে যায়। এর খাবারে বিষ মিশিয়ে অনুশোচনায় কিংবা আত্মগ্লানিতে অসুস্থ হন। এদিকে তরনীর অসুস্থতায় জুনায়েদ কেঁদে ওঠেন।

একসময় একসাথে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচার দেবার ডাক আসে। এর সম্মানী হিসেব করে, সৎ উপার্জিত অর্থে জমি কেনার আশায় আবু জুনায়েদ আবারো পুলকিত হন। সৌভাগ্যের খবরটি শোবার ঘরে ছুটে গিয়ে পরম ভালবাসায় ডাকতে থাকেন, ‘বানু,বানু!’
বানু নিতান্ত অনিচ্ছায় জেগে উঠে তরনীর খুনী হিসেবে নিজেকে অকপটে স্বীকার করে নেয়, আর ধিক্ দেয় তার সৌভাগ্যের।

লেখিকা : Shafquat Alam Akhi (Elsa Elsa)

akhi

The post বই পরিচিতি: গাভী বিত্তান্ত appeared first on Bangladesh Study Forum.

পড়তে পারেন দর্শনের যে ১০টি বই

$
0
0

দর্শন শুধু স্কুলে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ারই বিষয় নয় বা অল্প কতক পণ্ডিতের হাতের মোয়াই নয়। বরং এটা সমাজ ও সম্প্রদায়ের অভিজ্ঞতা ও যাপনের অংশ। প্রত্যেকটা সমাজ, দেশ বা সম্প্রদায়ের দর্শন রয়েছে সেটা নিজের হউক বা ধার করা হউক, শক্তিশালী হউক কিংবা দুর্বল হউক। কেউ দর্শন জানুক বা না জানুক দর্শন তাকে নিয়ন্ত্রণ করে। আর সেটা যদি জানা যায় তাহলে ভালো নয় কি? কিভাবে পৃথিবী এখানটাতে এসেছে, কিভাবে এখন চলছে, ভবিষ্যতটা কেমন হতে পারে সেটা জানা বা জানার চেষ্টা মহান প্রচেষ্টা নয় কি?

দর্শন না জানলে আপনি নিজেকে শিক্ষিত লোক বলার লাইসেন্স হারান আসলে। দর্শন হলো সকল জ্ঞানকাণ্ডের মা বা সুতো। একে ঠিকমতো ধরতে পারলে জ্ঞানের অন্যান্য শাখায় দখল নেওয়া সহজ হয়ে যায়! এজন্য একজন পাঠককে সহজপাচ্য পড়াশুনা শেষ করে আরেকটু গভীরে যাওয়ার জন্য দর্শনের তরীতে সওয়ার হতে হবে। এখন কিভাবে সেই ভ্রমণটা শুরু করা যায় সেটা নবীন পাঠকের কাছে বিরাট প্রশ্ন আকারে হাজির হতে পারে।

বাংলাদেশ স্টাডি ফোরামের অনেক বন্ধু দর্শনের কোন কোন বইগুলো পড়ে যাত্রা শুরু করবে তার সাজেশন চেয়ে থাকে অহরহ। সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ওয়ালি উল্লাহ বেশ জোর দাবি জানিয়ে আমাকে বললো যেন দর্শনের দশটা বইয়ের তালিকা করে দেই। সে দর্শন পড়া শুরু করতে চায়। দর্শনের ছাত্র হিসেবে এটা তো আমার জন্য অনেক আনন্দের বিষয় যে আরেকজন সহপাঠি পেয়ে যাচ্ছি। আমাদের সম্পর্ক  তো এই ফিলসফি বা ‘জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা’র কারণেই!  ওয়ালির মতো আরও কয়েকজনও দর্শনের বইয়ের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকার আবদার জানিয়েছিল বেশ কয়েকবার। সবার দাবির প্রতি সম্মান রেখে এখানে তাই সে ক্ষুদ্র প্রয়াসে হাত লাগাচ্ছি! লেখাটি পড়ার সময় এটা মনে রাখার অনুরোধ করবো কোন রূপ মুরব্বিয়ানার খায়েসে এটি লেখা হয়নি। দর্শনের জগতে আমার মতো নবীন পাঠকদের সহ-পথিক বা সহপাঠী হওয়ার আকাঙ্খাতে লেখা।

নিচে দশটি বইয়ের উল্লেখ রয়েছে যার মধ্যে কয়েকটা বইয়ের মাঝপথে এখনো আছি। কিন্তু যতটা এগিয়েছি বুঝতে পেরেছি আমার মতো অন্যান্য পাঠকের জন্যও বইগুলো কাজে দেবে।

১. সোফি’জ ওয়ার্ল্ড বা সোফির জগত- ইয়োস্তেন গার্ডার

sophie

পাশ্চাত্য দর্শনের জগতে প্রবেশের জন্য সবচেয়ে সহজ চয়েস হতে পারে এ বইটি। সারা বিশ্বে প্রায় বিশ মিলিয়ন কপি বিক্রি বলে দিচ্ছে বইটির জনপ্রিয়তার কথা।

১৪ থেকে ১৫ তে পা দিচ্ছে এমন মেয়ে সোফি স্কুল থেকে ফিরে দেখলো তার চিঠির বাক্সে তার জন্য দুটি চিঠি। প্রত্যেকটাতে একটি করে প্রশ্ন। একটাতে রয়েছে: ‘তুমি কে?’ আর অপরটাতে রয়েছে-‘পৃথিবী কোথা থেকে আসলো?’

এভাবে শুরু হলো একজন রহস্যময় দার্শনিকের সাথে পত্রবিনিময়। সেই রহস্যময় দার্শনিকের কাছ থেকে সে জানতে লাগলো সক্রেতিস থেকে একেবারে সার্ত্রে পর্যন্ত দর্শনের অভিযাত্রার কাহিনী।

বইটি মূলত একটি উপন্যাস। আছে থ্রিলার, সাসপেন্স ও রহস্যের সমাহার। মূলত শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা হলেও বড়রাই এর থেকে পুরো সুবিধা নিতে পারবে। দর্শনকে মানুষের কাছে সহজলভ্য ও সহজবোধ্য করার ক্ষেত্রে নরওয়ের লেখক ইয়োস্তেন গার্ডারের এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানানো উচিত সব পাঠকের! বইটির বাংলা অনুবাদ বাজারে পাওয়া যায়!

২. দ্য লিটল প্রিন্স-আন্তোন সেইন্ট দ্য এক্সিপেরি

little prince

গত শতকটি ছিল মানুষের আকাশে পাখা মেলার শতক। বিশ শতকের একেবারে প্রথমেই মানুষ প্রথমবারের মত মিলিয়ন বছরের আকাশে উড়ার স্বপ্ন সফল করে। বিমান আবিষ্কার মানবজাতির ইতিহাসে একটি অনন্য ঘটনা। যদিও দুটো বিশ্বযুদ্ধ এবং প্রতিনিয়ত চলতে থাকা বিভিন্ন যুদ্ধে বিভিন্ন মানুষের উপর হামলা চালানোর জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে, দুটি পারমানবিক বিস্ফোরণের কাজে ব্যবহৃত হয়েছে কিন্তু বিমানের সাথে মানবজাতির মিলিয়ন বছরের আকাশে উড়ার স্বপ্ন বা স্মৃতি জড়িত রয়েছে। বিমানের মাধ্যমে আকাশে উড়ার প্রযুক্তি আসার সাথে সাথে তথ্য-প্রযুক্তি সেক্টর একটি বড় উল্লম্ফন দিয়েছে। খুব দ্রুতই এটা উন্নততর ও বৈচিত্র্যময় করার প্রচেষ্টা দেখা গেছে। এই বিমান চালু হওয়ার প্রথমদিকে যারা বিমান চালাতেন তারা ছিলেন সমকালের নায়ক। প্রথমদিকে বেশি বিমান দুর্ঘটনা হওয়ার কারণে বিমান চালনার পেশাতে যারা আসতেন তাদেরকে দু:সাহসী হিসেবেই দেখা হতো। এখনকার সময়ে মহাকাশে যারা কয়েকমাস বা বছরব্যাপী থাকেন তারা যেমন বড় তারকা হিসেবে স্বীকৃত হন তখন বিমানের পাইলটদের ব্যাপারটি এমন ছিল।

আন্তোন দে সেইন্ট এক্সিওপেরি হচ্ছেন প্রথমদিককার এমন একজন পাইলট। আর বিমান চালনা এবং আকাশযান বিষয়ক গল্প সমকালে বেশ জনপ্রিয় ছিল এখন যেমনটা সাইন্স ফিকশন এবং নভোজান বিষয়ক গল্প, সিনেমা জনপ্রিয়। দ্য লিটল প্রিন্স স্রেফ বিমান সম্পর্কিত গল্প হওয়ার কারণেই এত জনপ্রিয় নয়। এর সাথে রয়েছে দর্শন, কাব্য, রহস্য ও অভিযানের মসলা।

এই নভেলাটি ফরাসী ভাষায় সবচেয়ে বেশি পঠিত ও বেশি অনূদিত বই হিসেবে স্বীকৃত।  এটা বিশ শতকে ফ্রান্সের শ্রেষ্ঠ বই হিসেবেও নন্দিত। এটি একই সাথে নৈতিক অ্যালিগরি আবার আধ্যাত্মিক আত্মজীবনী। মোহনীয় বর্ণনায় আমরা দেখি কিভাবে একটি ছোট্ট ছেলে দূরের কোন গ্রহ থেকে পৃথিবীতে পতিত হয়। হিন্দি ‘পিকে’ মুভিটিতো দেখেছেন, তাই না? সেরকম আর কি। দূর কোন গ্রহ থেকে একজন এই পৃথিবীতে চলে এসেছে যে এই পৃথিবীর চালচলন কিছু বুঝে না। একজন বয়স্ক বৈমানিক তাকে বিভিন্ন রূপকে এই মানবসমাজের সাথে সেই ছোট্ট ছেলেটিকে পরিচিত করিয়ে দেয়। সেই ছোট্ট শিশুটি আমাদের ‘লিটল প্রিন্স’ যেন বড়দের দুনিয়া ও অভিজ্ঞতার জগতে অডেসিয়ান জার্নিটি দেন। মানবগোষ্ঠির জীবনে কি কি দার্শনিক অভিঘাত আসে এবং সেগুলোর দিকে কিভাবে দৃষ্টিপাত করতে হয় তার ইশারা আছে এই গ্রন্থে।

৩. এ ক্রিটিকাল হিস্ট্রি অব গ্রিক ফিলসফি- ডব্লিউ টি. স্টেইস

stace

শুধু গ্রিক দর্শনের উপর দাঁত বসানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বই এটি। স্টেইস ভিন্ন ভিন্ন ডিসিপ্লিন ও পেশার মানুষের সামনে গ্রিক দর্শনের উপর সিরিজ লেকচার দিয়েছিলেন। তারই ফল এ বইটি। এ কারণে বইটি পাঠকের কাছে সহজগম্য হবে। মোটামুটি ছোট সাইজের এ বইটি পড়ে পরিচিত হয়ে যেতে পারেন গ্রিক দর্শনের সাথে।

৪. হিস্ট্রি অব ওয়েস্টার্ন ফিলসফি-বাট্রার্ন্ড রাসেল

History_of_Western_Philosophy

দর্শনের জগতে ঘুরে আসার জন্য একটি অসাধারণ বই। দর্শনের ইতিহাসের উপর আরও যে কয়েকটি বই ভালো লেগেছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্যামুয়েল ইনূচ স্টাম্ফের ‘সক্রেতিস টু সার্ত্রে: অ্যা হিস্ট্রি অব ফিলসফি’, ফ্রাঙ্ক থিলি’র ‘এ হিস্ট্রি অব ফিলসফি’ এবং উইল ডুরান্টের ‘দ্য স্টোরি অব ফিলসফি’। সময় ও সুযোগ থাকলে সবগুলোও পড়া যেতে পারে। তবে একটা দিয়ে যদি শুরু করতে চান তাহলে রাসেলকেই নিতে পারেন। ইংরেজি ভাষার একজন অসাধারণ গদ্যশিল্পী যে নিজেও একজন শক্তিশালী দার্শনিক তার কাছ থেকে তিন হাজার বছরের পাশ্চাত্য দর্শন ও দার্শনিকদের গল্প শুনা একটি সুখকর অভিজ্ঞতা হবে সেটা বলাই বাহুল্য। রাসেলের গদ্য যেমন পাঠককে টানবে এবং প্রত্যেক দার্শনিককে নিয়ে করা তার মন্তব্য আমাদেরকে দিক নির্দেশনা দেবে।

৫. এমিল অর অন এজুকেইশন -জ্যাঁ জ্যাক রুশো

emile

শিক্ষা দর্শনের উপর রুশোর এ বইটি একটি অনন্য গ্রন্থ। রুশোর ভাষা ও ভাব প্রকাশভঙ্গি আলোচিত-সমালোচিত ও সমাদৃত কেন তার সাক্ষর পাওয়া যাবে এ বইটিতে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ‘দ্য সোসাল কনট্রাক্ট’ যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বই তেমনি পাশ্চাত্যে শিক্ষাদর্শনের আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ বই। তৎকালীন ফ্রান্সে একটি ফরাসী শিশু কি ভয়ানক উপায়ে শিক্ষাগ্রহণ করে, এবং তার উপর সেই ভুল ও দুর্বল শিক্ষা পদ্ধতির কি কি বাঁজে প্রভাব সারাজীবন তার সাথে থেকে যায় তার তীক্ষ্ণ বর্ণনা যেমন রয়েছে আবার কিভাবে একটি শিশুকে শিক্ষা দেওয়া উচিত তার সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা।

৬. এপলজি অব সক্রেতিস বা সক্রেতিসের জবানবন্দি-প্লাতো

apology

সক্রেতিসের বাবা ছিলেন ভাস্কর আর মা ধাত্রী। সক্রেতিস পরবর্তী জীবনে মা-বাবার পেশাকে ধরে রেখেছেন বলে মনে করতেন। ধাত্রী যেমন কোন মানবশিশুকে পৃথিবীতে আসতে, জন্ম নিতে সহায়তা করতেন সক্রেতিসও তেমনি একজন জ্ঞানপিপাসুর জন্মের ক্ষেত্রে ধাত্রীর মতো ভূমিকা পালন করতেন। আবার একজন ভাস্কর যেমন কঠিন পাথরকে কেটেকুটে সুন্দর মূর্তির রূপ দেন তেমনি দার্শনিক ও মানবতার শিক্ষক সক্রেতিস ও একজন মানবশিশুর পরিপূর্ণ বিকাশের ক্ষেত্রে নিপুণ ভাস্করের ভূমিকা পালন করেছেন। বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে তার পরিচয়। এখন সক্রেতিস কেমন শিক্ষক ছিলেন তার প্রমাণ প্লাতো, অ্যারিস্তোতলদের মতো ওস্তাদদের পরম্পরা তৈরি করার মধ্যেই রয়েছে। তার প্রিয় এবং যোগ্যতম শিষ্য প্লাতোকে নিয়ে বলা হয়-‘পুরো পাশ্চাত্য দর্শন প্লাতোর ফুটনোট মাত্র’। প্লাতোর প্রত্যেকটি লেখাতে প্রধান চরিত্র হিসেবে থেকেছেন সক্রেতিস। মনে হচ্ছে যেন সক্রেতিস কথা বলছেন আর প্লাতো নোট লিখছেন। ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়। বয়স ত্রিশের দিকে গুরু সক্রেতিসের করুণ বিয়োগের ঘটনাটি এমনভাবেই তাড়িত করেছিল তরুণ প্লাতোকে যে সে তার পুরো জ্ঞানচর্চাকেই সক্রেতিসের পদতলে বিছিয়ে দিয়েছেন। ব্যাপারটা অনেক পরিষ্কার প্লাতো প্রথমদিকে হয়তো সক্রেতিসের দর্শনই সক্রেতিসের মুখ দিয়ে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তার সেরা লেখাগুলোতে বা শেষদিকের লেখাগুলোতে নিজের দর্শন সক্রেতিসের মুখ দিয়ে বলিয়ে নিয়েছেন। সক্রেতিসের প্রতি তার একাত্ম আনুগত্য ও ভালোবাসার ব্যাপারে কোন প্রকার সন্দেহের লেষমাত্র নেই।

সক্রেতিসকে খুব কাছ থেকে বুঝতে হলে তার জবানবন্দি পড়তে পারেন। এর একাধিক বাংলা তর্জমা আছে। ইংরেজিতেও অনেকগুলো সংস্করণ আছে। যেকোন একটা পড়ে ফেলতে পারেন।

৭. অন দ্য শর্টনেস অব লাইফ- সেনেকা

on the shortness of life

আমরা পৃথিবীতে এমনভাবে জীবনধারণ করি যেন আমরা অমর, মৃত্যু মনে হয় আসবেই না। অথচ যে মুহূর্তটা একবার চলে গেল সেটা আর ফিরিয়ে আনা কখনোই সম্ভব না। এবং মৃত্যু ও চলে যাওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ট্রাজিক সত্য। এটা ট্রাজিক সত্য কারণ এই সত্যটা সবাই জানলেও ভুলে থাকে বা ভুলে যায়।

সেনেকার মতে-‘তুমি এমনভাবে সময় অপচয় করো যেনো তোমার অফুরান যোগান আছে। কিন্তু ব্যাপারটা হলো কোনদিন কাউকে যে সময়টা দিলে বা যে জন্য দিলে সেটা হয়তো তোমার শেষ সময়। মরণশীল প্রাণীর সব ভয় তোমাদের মধ্যে কিন্তু তোমাদের আকাঙ্খা এত যেন তোমরা মরবে না।’

যারা বিভিন্ন আকামে ব্যস্ত থাকে অথচ ভবিষ্যতে কোন একসময় ভালো কাজ করবে বা ৫০/৬০ বছরের পর অবসরে গিয়ে সকল ভালো কাজ করার পরিকল্পনা করে রাখে তাদেরকে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। তিনি প্রশ্ন করেন কিভাবে তারা নিশ্চিত যে ৫০ বছর বা ৬০ বছর বেঁচে থাকবে? সেনেকার মতে এমন মানুষদের লজ্জা পাওয়া উচিত। যে তার জীবনের সেরা সময়টাতে ভালো কাজ করতে পারে নাই সে শেষ জীবনে গিয়ে করে ফেলবে এটা ভাবা অহেতুক কল্পনাবিলাস নয় কি? সেনেকার কথা হচ্ছে যা কিছু করার আজই শুরু করতে হবে। ভবিষ্যতের জন্য ফেলে রাখার দরকার নেই।

জীবনের অর্থ খুজে পাওয়া বা কিভাবে বাঁচতে হয় এটা শিখতে অনেক কষ্ট হয়, এমনকি জীবন ফুরিয়ে যাওয়ার আগে অনুধাবন হয় যে আসলে সেরকম বাঁচতেই পারলাম না। অনেকে বেশি মানুষের উপর ক্ষমতাবান হওয়াকে জীবনের সফলতা মনে করে। এর একটা বড় গোলকধাঁধা হচ্ছে এই যে অনেকের কাছে পরিচিত হলেও দেখা যায় সে নিজের কাছে সবচেয়ে অপরিচিত। এজন্য অনেক খ্যাতিমান লোক দিন শেষে দেখে তার নিজের জন্য সময় বরাদ্ধ কত কম!

বেশিরভাগ মানুষের দিন কাটে অতীতের অনুশোচনা আর ভবিষ্যতের দুর্ভাবনা নিয়ে। কয়জন পারে আজকের দিনটাকেই শেষদিন মনে করে পূর্ণ করে বাঁচতে? আর অনেকের দিন কাটে ভবিষ্যতের ভালো সময়ের অপেক্ষা করে। সেনেকার প্রশ্ন ভবিষ্যতের কাছে দাবি-দাওয়া বা ভবিষ্যতের ভয় ছাড়া বর্তমানে বাঁচতে পারে কয়জন?

সময়ের অপচয় সেনেকা মেনে নিতে পারেন না। অন্য তুচ্ছ জিনিস নিয়ে বেশ সতর্ক হলেও এ ব্যাপারটাতে বেহিসাবী। সময়কে তুচ্ছ করে যারা অপচয় করে, অহেতুক কাজ করে বেড়ায় তারাই আবার যখন গভীর অসুস্থতায় পড়ে বা মৃত্যুমুখে পতিত হয় তারা ডাক্তার কবিরাজদের হাঁটুর নিচে পড়ে থাকে যেন আর কয়টা দিন বাঁচা যায়। বা কাউকে যখন মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় তখন উকিল-মোক্তারদের পেছনে ভাই-বন্ধু, আত্মীয়-স্বজনদের দৌড়ানো দেখলেই বুঝা যায় একটি দিন বেঁচে থাকা গুরুত্বপূর্ণ, একটি দিন কত বড়! আবার এ লোকটিই হয়তো দিনের পর দিন দিন ক্ষয় করে গেছে, অন্যের জীবন যাপন করে গেছে আর নিজের কাছে অচেনা থেকে কাটিয়েছে।

অনেক বছর বাঁচলেই কেবল বড় মানুষ হওয়া যায় না। সেনেকা বলেন- ‘কারো ধূসর চুল আর কুচকে যাওয়া চামড়া দেখে ভেবো না সে অনেকদিন বেঁচেছে। সে আসলে অনেকদিন অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে।’

৮. অন লিবার্টি- জন স্টুয়ার্ট

liberty

জন স্টুয়ার্ট মিলের ইউটিলিটারিয়ানিজম বা উপযোগবাদ বইটি সবচেয়ে বিখ্যাত হলেও ‘অন লিবার্টি’ আমার প্রিয় বইয়ের একটি। প্রথমবারের মতো দর্শনের যে বইটি পড়ে শেষ করেছিলাম এবং কয়েকমাস সাথে সাথে রাখতাম  সেটি ছিল ‘অন লিবার্টি’। অনেকগুলো লাইন মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল এবং দর্শনের জগতে  একেবারে টেনে হিচড়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এ বইটির ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই। ১৮৫৯ সালে চার্লস ডারউইনের ‘অরিজিন অব স্পিসিজ’ এর প্রকাশের সালটিতেই প্রকাশিত হয়েছিল ‘অন লিবার্টি’। এবং সমকাল এবং উত্তরকালে প্রভাবের দিক থেকেও কম যায়নি ‘অন লিবার্টি’।

৯. চানক্যনীতি

neeti

আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশেই যে এক শক্তিশালী দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ছিলেন যার সাথে পরিচিত হওয়া এ অঞ্চলের প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই অবশ্য কর্তব্য। পারিবারিক জীবন ব্যবস্থাপনা থেকে রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা পর্যন্ত মানুষের সম্ভাব্য যতগুলো দিক আছে তার প্রতিটির উপরই আলো ফেলেছেন এবং প্রাজ্ঞ পরামর্শ দিয়েছেন। চানক্যের সমরবিদ্যা চৈনিক সমরবিদ সান জুর তুলনায় কোন অংশে কম নয়। সান জুর মতো চানক্যের বেলাতেও বলা যায় ‘তুমি যদি চানক্যের পরামর্শ শুনো কোন ক্ষেত্রে পরাজিত হবে না আর যদি তার পরামর্শের অন্যথা করো তাহলে তোমার পরাজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’

১০. এ হিস্ট্রি অব ওয়েস্টার্ন ফিলসফি-রালফ ম্যাকলনার্নি

ralph

দর্শনের ইতিহাসের উপর নতুন হাতে আসা যে বইটি বেশ ভালো লাগছে সেটি হলো রাল্ফ ম্যাকলনার্নির এ বইটি। প্রায় সাড়ে আটশো পৃষ্ঠা প্রলম্বিত এই বইটির সবচেয়ে ভালো লাগার দিক হচ্ছে এর টসটসে ভাষা! ভাষা যেহেতু কোন বইয়ের জগতে প্রবেশের দরজা এ কারণে এ বইয়ে খুব সহজেই প্রবেশ করে ফেলতে পারবেন! সাইজ দেখে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। এক সপ্তাহ বা পনের দিন পড়ে যদিও এটা শেষ করতে পারা যায় তাহলে সেটা হবে একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা। বইটির বরাতে বেড়িয়ে আসতে পারবেন পাশ্চাত্য দর্শনের অন্দরমহলে এবং জেনে নিতে পারবেন এর হাড়ির খবর!

 

ফিচার ফটো: ডেভিড-‘দ্য ডেথ অব সক্রেতিস’

The post পড়তে পারেন দর্শনের যে ১০টি বই appeared first on Bangladesh Study Forum.

বই পড়া ও রিভিয়্যু লিখা নিয়ে কয়েকটি টিপস

$
0
0

আপনারা যারাই এই লেখা পড়ছেন তাদের সবাই নিশ্চয়ই অনেক বই পড়েছেন, বই পড়তে অনেক সময় দিয়েছেন যে সময় আপনি টিভি দেখার পেছনে দিতে পারতেন, কোন মুভি দেখার পেছনে দিতে পারতেন বা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারতেন। এই এতকিছুর সাথে কম্প্রোমাইজ করে আপনি বই পড়াতে সময় দিলেন। তাহলে বুঝতেই পারছি এটা আপনার প্রেফারেন্স।

বই পড়তে একটু সময় দিতে হয় বা অনেক ঘন্টা ব্যয় করতে হয়। এখন আমার এই সময় দেয়াটা যদি কাজের না হয় তাহলে সেটাকে অপব্যয় বললে তো ভুল হবেনা। আমি জাস্ট ইউটিলিটিরিয়ান পারস্পেকটিভে কথা বলছিনা। প্রত্যেক কাজেরই একটা লক্ষ্য থাকে, উদ্দেশ্যহীন কাজ কি আছে?

Painting by William Oliver

Painting by William Oliver

বই পড়া সেটা তো অনেক সফিস্টিকেটেড কাজ। এখন যেহেতু এর পেছনে সময় দিয়েছেন বা ভবিষ্যতেও আরও সময় দিবেন তাহলে আসেন আমাদেরক প্রশ্ন করি, ‘একটা বই সম্পূর্ণ শেষ করার পর এটার উপরে কি আমি পাঁচ মিনিট কথা বলতে পারি?’ যে বইটা পড়তে পাঁচ ঘন্টা সময় দিলাম এটার উপর কি পাঁচ মিনিট লেকচার দিতে পারবো?

যদি পাঁচ মিনিট কথা বলতে পারেন তাহলে আপনি উৎরে গেলেন, আর আধা ঘন্টা যদি লেকচার দিতে পারেন তাহলে তো আপনি অসাধারণ রিডার! এক্ষেত্রে জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাকের কথাটা মনে রাখার মতো: যদি একটা বই পড়ে সেটা রিপ্রডিওস না করতে পারো তাহলে সেটা তোমার পড়া হয়নি। বলছিলাম আহমদ ছফার ‘যদ্যপি আমার গুরু’র কথা।

apology

বিশ্বের সেরা রিডারদের একজন জ্ঞানগুরু প্লাতো। সেই যে আদালতে সর্বশেষ জবানবন্দি দেন সক্রেতিস যেটা এক অসাধারণ বক্তৃতা, তার অসাধারণ রিপ্রোডাকশান করছেন প্লাতো। সেটা লিখতে গিয়ে প্লাতো অবশ্যই নিজে অনেক শব্দ হয়তো যোগ করেছেন বা পরম্পরায় হেরফের করেছেন। কিন্তু তিনি সক্রেতিসের বেশিরভাগ কথা নিশ্চয়ই লিপিবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। সক্রেতিস তা কোন বই লিখেন নি, এজন্য আমরা ধরতে পারি সক্রেতিসের জবানবন্ধি তার সর্বশেষ বই যেটা রিখেছেন তার এক শিষ্য।

রিপ্রোডাকশনের স্ট্যান্ডার্ড বলতে আমি সেটাকে বলতে পারি।

আহমদ ছফার ‘যদ্যপি আমার গুরু’ ও তেমন একটি বই। সেখানে আহমদ ছফা কোন অডিও রেকর্ডের উপর আশ্রয় নেননি তার প্রমাণ সুস্পষ্ট। অতীতের স্মৃতি থেকে টেনে হিচরে অনেক কথা নিয়ে এসেছেন এবং নিজের গুরুর একটা ছবি একেছেন যে ছবি দিয়েই আমরা অনেকে আব্দুর রাজ্জাককে দেখি, বুঝি, পাঠ করি বা অনুধাবন করার চেষ্টা করি।

এখন আসেন আমাদের দিকে নজর দেই। আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে পড়ছি পরীক্ষার জন্য তো অনেক পড়াশুনা করতে হয়, বই পড়তে হয়, নোট পড়তে হয় ইত্যাদি। তারা উপকার পেলেও পেতে পারেন।

একজন ভালো পাঠক হতে হলে কি কি করা যায়:

১. সব ধরণের বই পড়ে কিন্তু রুচি তৈরি করে রাখতে হবে

little girl007

প্রথমত একজন সর্বভুক পাঠক সব ধরণের বই-ই পড়ে থাকেন। বিভিন্ন ধরণের বই পড়লে একসময় নিজেই ভালো বই বাছাই করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারবেন। প্রথমে তাই সামনে যে ধরণের বই-ই আসে সেগুলো পড়ার চেষ্টা করতে পারেন। এতে পড়ার অভ্যাসটা হবে। একসময় একটা রুচি ডেভলপ করবে।

২. সব বই পুরোটা পড়ার সময় কই

lady reads

জগতে এতো বই আছে তার সব কি পড়া সম্ভব বা অবাস্তব কল্পনা না? প্র্যাকটিক্যাল হওয়া ছাড়া আপনার সামনে আর কোন অপশন নাই কিন্তু। কিছু কিছু বইয়ের শুধু মলাট দেখবেন, কিছু কিছু বইয়ের শুধু নাম ও লেখকের নাম দেখবেন, কিছু বইয়ের ভূমিকা পড়েই খতম আর কিছু বইয়ের ফ্ল্যাপ।

এ সব কিছু দেখে তারপর যদি মনে হয় আমার আরও সামনে আগাতে হবে তবেই না আগাবো।

৩. সিদ্ধান্ত নিলাম পুরো বই পড়বো, তারপর?

Charles_Edward_Perugini_ak1

ধরেন একটা বই পুরো পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম, তারপরও কি পুরোটা পড়তে হবে?

কিছু কিছু বইয়ের ক্ষেত্রে দেখা গেছে একই কথা লেখক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বারবার বলছেন। আবার অনেক বইয়ে লেখক তার অনেকগুলো প্রবন্ধ একসাথে করে জুড়ে দেন। এর মধ্যে হয়তো এক দুটা আপনার কাজে লাগবে বা ভালো লাগে। এক্ষেত্রে আপনার দরকারি বা ভালো লাগার প্রবন্ধটি পড়ে ফেললেই হয়। অন্য সব না পড়লেও চলতে পারে।

৪. এই বইটা পুরোটাই পড়তে হবে, তাহলে

victorian_Lady_figure

এমন কিছু বই আছে যে বইগুলো পুরোটা না পড়লে আপনার হবেনা, আপনি শান্তি পাবেন না, মাথায় পোকার মতো লেগে থাকবে শেষ না করার আকুতি।

সেগুলো কেমনে পড়বো?

৫. বইটা পড়ার আপনার উদ্দেশ্যটা কি আসলে?

Painting: Stalin Reading

Painting: Stalin Reading

বই আনন্দের জন্য পড়া হয়, জানার জন্য পড়া হয়, লেখার জন্য পড়া হয়, গবেষণার জন্য, বলার জন্য পড়া হয়, পরীক্ষার জন্য পড়া হয়, সময় কাটানোর জন্য, অন্যকে দেখিয়ে দেয়ার জন্য পড়া হয় আরও বিচিত্র কারণ আপনি এর সাথে যোগ করতে পারেন।

৬. বই পড়ি আনন্দের জন্য, সময় কাটানোর জন্য

Girl In The Hammock by Winslow Homer

Girl In The Hammock by Winslow Homer

এই দুই কাজের জন্য বই পড়লে আপনার সাথে আর কিছু দরকার নাই। শুধু বইটা হলেই হইলো। ধরবেন আর পড়বেন, ব্যস! এটা আপনি চেয়ারে হেলান দিয়ে, বিছানায় গা এলিয়ে, বারান্দায় বসে, ছাদে বসে বা গাছে বসেও পড়ে ফেলতে পারেন।

read tree

৭. জানতে পড়ি, লিখতে পড়ি, গবেষণার জন্য পড়ি

cute girl reads

আপনি একটু সিরিয়াস পাঠক। তাইলে কিন্তু আপনাকে একটু বেশি প্রিপারেশন নিয়েই নামতে হবে। সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মালপত্র রাখতে হবে; এই যেমন খাতা কলম, পেন্সিল আবার পেন্সিল শার্প করার জন্য শার্পনার।

৮. নোটবুকটা বড় নিবেন

Mignard-autoportrait

পড়ার সময় নোট নিতে হয় এটা প্রায় সবাই জানেন। কিন্তু আমার মতো আপনারা একই ভুল চারবছর করে যাবেন না। আমি প্রথম দিকে ছোট ছোট প্যাডে নোট নেয়া শুরু করেছিলাম। শেষে নোট খাতার পরিমাণ বিশ পার হযে গেছিলো। এতে ক্ষতি হয়েছিল কি আমি এদের হদিস রাখতে পারতাম না। কোথায় কোনটা রাখতাম এটা ভুলে যেতাম। আবার কোন নোটটাতে কি রেখেছিলাম সেটাও ভুলে যেতাম। এজন্য আমার রাখা প্রথম চারবছরের নোটগুলো কোথায় যে পড়ে আছে তা হোফডজন গবেষকদের গবেষণার বিষয় হতে পারে।

অবশেষে পথটা পাল্টালাম। বড় নোটবুক নেয়া শুরু করলাম। আমার ইদানীং কালের নোটবইগুলো বিশাল বড়ো, ২০০ পৃষ্ঠার এদিক ওদিক! খুব মজা এবার নোট লেখা।

আপনার ল্যাপটপ বা মোবাইল ও হতে পারে আপনার নোটবই যদি আপনি সেটাতে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন।

৯. বই নিয়ে আলাপ

Book-Talks

যারা অনেকটা নিয়মিত বই পড়েন তাদের পড়াকে কাজে লাগানোর জন্য বইয়ের উপর কথা বলা বা মতামত রাখার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। কোন লেখকের লেখার সাথে আপনার একমত হওয়া বা ভিন্নমত রাখা বা তর্ক করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। কোন লেখকের বই পড়ার সময় একেবারে চোখ বুঝে সব গ্রহণ করার মানসিকতা থেকে সড়ে আসতে হবে। অবশ্য প্রাথমিক অবস্থায় অনেক পাঠকই লেখকদের দ্বারা ভড়কে যান এবং সবকিছুতেই একমত হয়ে যান। তবে প্রস্তুত পাঠক এমনটা হন না। নিজেকে একজন প্রস্তুত পাঠক বানাতে হলে পঠিত বইয়ের উপর আপনার নিজস্ব মতামত দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে। পঠিত বই নিয়ে সমমনা বা ভিন্নমতের বন্ধুদের সাথে আলাপ করতে পারেন,  বই নিয়ে মতামত রাখার চেষ্টা করতে পারেন। আর ভালো হয় আপনার মতামতকে লিখে ফেলার চেষ্টা করলে। মাঝে মাঝে নিজের মতকে যাচাই করার জন্য কোন বই কয়েকবার পড়া যেতে পারে। প্রথমবার পড়ার পর আপনার যে অনুভূতি ছিল দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার পড়ার সময় কেমন দাড়ায় সেটা দেখতে পারেন। যদি প্রথমবারের চেয়ে ভিন্নতর হয় অবাক হবেন না। ভিন্নতাকে স্বাগতম জানাবেন। কারণ আপনি অগ্রসর পাঠক হচ্ছেন!

lets-talk-about-it

১০. সমালোচনা বা রিভিয়্যু লিখা

man

বই পড়া থেকে সবচেয়ে অধিক সুবিধা নিতে হলে আপনাকে সমালোচনা বা রিভিয়্যু লিখতে হবে। পঠিত বইয়ের মূল বিষয়, এর সমস্যা, এর প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি সামনে রেখে সমালোচনা দাড় করাতে পারেন। রিভিয়্যু লেখার জন্য সহজ তিনটি ধাপ অনুসরণ করতে পারেন।

প্রথম ধাপে বইটি নিয়ে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামতগুলো দিয়ে ফেলবেন। বইটির গুরুত্ব, বিশেষত্ব, প্রয়োজনীয়তার কথা প্রথম ধাপেই বলে ফেলুন। সবার শেষে বলার জন্য ফেলে রাখবেন না। পাঠক শেষ পর্যন্ত নাও যেতে পারে! আপনার প্রথম প্যারাটিই বলে দেবে পাঠক আর আগাবে কিনা।

দ্বিতীয় ধাপে বা মধ্যভাগে আপনি বইটির টেকনিক্যাল বিষয়াদি নিয়ে কথা বলতে পারেন। বইয়ের কতগুলো চ্যাপ্টার আছে, কোনটাতে কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। এ অংশটি প্রয়োজন মত টেনে লম্বা করতে পারবেন বা ছোটও রাখতে পারবেন। আপনিই ঠিক করতে পারবেন কতটুকু আগাবেন।

আর তৃতীয় ধাপে বা শেষ অংশে সাম আপ করে ফেলতে হবে। আগের দুটো অংশে আলোচিত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কোন সিদ্ধান্তে পৌছতে পারেন। পাঠক কেন এ বইটি পড়তে পারে বা পড়া উচিত বলে মনে করেন সে বিষয়ে আপনার দৃঢ় মন্তব্যের মাধ্যমে লেখার শেষ টানতে পারেন।

Painting by Thomas Benjamin Kennington

Painting by Thomas Benjamin Kennington

The post বই পড়া ও রিভিয়্যু লিখা নিয়ে কয়েকটি টিপস appeared first on Bangladesh Study Forum.

বই পরিচিতি : সূর্য-দীঘল বাড়ী

$
0
0

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মাত্রই শেষ হয়েছে। মন্বন্তর পরবর্তী বিধ্বস্ত বাংলার জীবনযুদ্ধ শেষ হয়নি তবু। অন্যদিকে সমাজের কুসংস্কারাচ্ছন্নতা, পুরুষতান্ত্রিকতা এবং ধর্মান্ধতাকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে সুবিধাবাদী শ্রেণী। এহেন পরিস্থিতিতে একজন নারীর জীবনসংগ্রাম ও সাংসারিক টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে “সূর্য-দীঘল বাড়ী”। ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত কালজয়ী এই উপন্যাসের স্রষ্টা সুসাহিত্যিক আবু ইসহাক।

আকালের ধকল শেষে বাঁচার আশা নিয়ে গাঁয়ে ফিরতে শুরু করে গাঁ-ছাড়া মানুষেরা। ছেলে হাসু আর মেয়ে মায়মুনকে নিয়ে ফিরে আসে জয়গুন নামের একজন মা। সাথে আনে ভাইপো শফি এবং তার মাকেও। ঠাই নেয় পিতার রেখে যাওয়া অভিশপ্ত  ‘সূর্য-দীঘল বাড়ী’-তে। বছরের পর বছর ধরে যে বাড়ী নিয়ে গ্রামময় গড়ে উঠেছে কুসংস্কার-, ‘যে-ই এ বাড়ীতে থাকবে, সে-ই নির্বংশ হবে’। বলে রাখা ভালো, সূর্য-দীঘল বাড়ী বলতে সূর্যের উদয়াস্তের দিকে অর্থাৎ পূর্ব-পশ্চিমে লম্বালম্বি টানা বাড়ীকে বুঝায়।

স্বামী জব্বার মুন্সীর মৃত্যুর কারণে সংসারের চাকা ঘোরানোর দায়িত্ব পড়ে জয়গুনের কাঁধে। হাসু নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশনে কুলির কাজ করে কিছুটা সহযোগিতা করে। কিন্তু চাল কেনাসহ বিভিন্ন কারণে বাড়ীর বাইরে এমনকি ময়মনসিংহ পর্যন্ত যেতে হয় জয়গুনকেই। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ মেনে নিতে পারে না এটা। এজন্যই দেখা যায় হাসু মসজিদে হাসের প্রথম ডিম নিয়ে গেলে হুজুরসহ মুসল্লিরা ফিরিয়ে দেয়। অন্যদিকে গদু প্রধানের মতো নারীলোভী মোড়লদের কুদৃষ্টি তো আছেই। জীবনধারণের খাতিরে নির্বিঘ্নে সবকিছু উপেক্ষা করে জয়গুন। উপেক্ষা করতে পারেনা ফেলে আসা ছেলে কাসুর স্মৃতি। পাশের গাঁয়ে করিম বখশের সাথে বিয়ে হয়েছিলো তার। সেই ঘরের ছেলে কাসু। আকালের সময় করিম বখশ জয়গুনকে তালাক দেয়। রেখে দেয় ছেলে কাসুকে।

দশ বছর বয়সী মায়মুনের বিয়ে হয় প্রভাবশালী সোলেমন খাঁর ছেলে উসমানের সাথে। বিয়ের আসরে ছেলে পক্ষ শর্ত জুড়ে দেয়,- ‘জয়গুনকে পর্দার নামে ঘরে বসে থাকতে হবে’। নিরুপায় জয়গুন মুখ বুজে কথা দেয় শুধু মেয়ের সুখের জন্য। কিন্তু সুখ-দুখ নিয়ন্ত্রণ করে হয়তো সমাজের উপর তলার মানুষেরাই। ক’দিন যেতে না যেতেই মায়মুনকে ছেড়া কাপড়ে বাড়ী পাঠিয়ে দেয় শ্বশুরবাড়ীর লোকেরা। অসহায় চোখে শুধু ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা দেখে মা আর মেয়ে।

ঘটনাক্রমে ছেলে কাসুর কাছেও গোপন থাকেনা মায়ের খবর। অবুঝ কাসু ব্যকুল হয়ে ওঠে জয়গুনের কাছে যাবার জন্য। স্বভাবতই করিম বখশ আটকে রাখে ছেলেকে। শত বাঁধাতেও যখন বশে আনতে পারেনা, তখন প্রতিবেশী হারুনের সাথে গোঙাবুড়ির গল্প ফাঁদে। ছেলে যাতে বাড়ী ছেড়ে বের না হয় এজন্য বাড়ীর সামনের গাছে নকল গোঙাবুড়ি বসিয়ে ভয় দেখায়। কাসু ভয় পায় বটে, সাথে সাথে ভয়ানক অসুস্থতার কাছে বন্দী হয়। নানা চিকিৎসায় ব্যর্থ হয়ে করিম বখশ বাধ্য হয় জয়গুনকে ডেকে পাঠাতে।

ছেলের অসুস্থতার খবর শুনে রাগ করে থাকতে পারেনা জয়গুন। ছুটে যায় কাসুর কাছে। ডাক্তার দেখিয়ে, রাত্রি জেগে পরম স্নেহে সেবা করে সুস্থ করে তুলে কাসুকে। অনেক দিন পর করিম বখশ হঠাৎ নিজের ভুল বুঝতে পারে। জয়গুনকে পুনরায় ঘরে তুলতে চায়। প্রয়োজনে তালাক দিতে চায় বর্তমান স্ত্রী আঞ্জুমানকে। জয়গুন এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে নিজের বাড়ী চলে আসে।

এবার আর কাসুকে আটকে রাখে না করিম বখশ। নিজে এসে সূর্য-দীঘল বাড়িতে দিয়ে যায়। পুত্রকে দেখার অজুহাতে প্রতিদিন দুধ নিয়ে আসে। শফির মায়ের কাছে জয়গুনকে ফিরিয়ে নেবার জন্য কাকুতিমিনতি জানায়। কিন্তু বরাবরের মতো নিশ্চুপতাই হয় জয়গুনের উত্তর। তারপরেও নিয়মিত যাতায়াত অনেকটা স্নেহপরায়ণ করে তুলে করিম বখশকে।

জীবনের তাগিদে আবার বাড়ির বাইরে আসে জয়গুন। আগের মতোই মুক্ত আর তোয়াক্কা বিহীন। কয়েকবার বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়ে ব্যর্থ হওয়া গদু প্রধান আর চুপ থাকতে পারে না। সদলবলে উঠে পড়ে লাগে কুমতলবে। সূর্য-দীঘল বাড়ির ভূত হয়ে প্রতি রাত্রিতে ঘরের চালে ঢিল ফেলতে শুরু করে।  প্রতি রাতেই ভয়ে চমকে উঠে হাসু আর মায়মুন। কাসুকে জড়িয়ে ধরে কুকড়ে যায় জয়গুনও। ভূতের ভয়ে না, সন্তান বাঁচানোর ভয়ে।

কাসু অথবা জয়গুন অথবা উভয়ের জন্য ভালোবাসা গুমড়ে উঠে করিম বখশের মনে। বিপদের কথা ভেবে তাই নিজের ঘরে বসে থাকতে পারে না। একরাতে ছুটে আসে সূর্য-দীঘল বাড়ীর উদ্দেশ্যে। স্বচক্ষে দেখতে পায় ঢিলরত তিনটি ছায়ামূর্তি। সেই ছায়ামূর্তিরাই গলা টিপে হত্যা করে তাকে। মৃত্যুর আগে শুধু গদু প্রধানকে চিনতে পারে করিম বখশ।

পরদিনই মৃত করিম বখশকে নিয়ে কুসংস্কার ঘনীভূত হয়,- ভূতে গলা টিপে মেরেছে। শুধু জয়গুন অনুভব করে বুকের ভেতর থেকে। একটা মানুষ কখনো কাউকে ভালোবাসেনি, কখনো কারো ভালোবাসা পায়নি। তারপর সন্তানদের বুকে চেপে ধরে ঘর ছেড়ে আবার পথে নামে জয়গুন। মনে একটু ভরসা, খোদার বিশাল দুনিয়ায় মাথা গুঁজার একটু ঠাই তারা পাবেই।

গ্রামীণ কুসংস্কার আর ধর্মান্ধতাকে ব্যবহার করে সমাজে রাজত্ব করে গদু প্রধানের মতো ভণ্ডেরা। আর তাঁদের পাতা ফাঁদে সর্বস্বহারা হয়ে পথে নামে হাজারো জয়গুন। মৃত্যু ঘটে করিম বখশের মতো কোনো স্বামীর, কোনো পিতার। আবু ইসহাকের নিপুণ লেখনশৈলীতে সে জয়গুনদের গল্পই যেনো উচ্চারিত হয়েছে।

বলা বোধ হয় অপ্রাসঙ্গিক হবে না। এই উপন্যাসের উপর ভিত্তি করেই ১৯৭৯ সালে চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়, যেটি ৮টি বিষয়ে জাতীয় পুরস্কারসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে। লেখক লাভ করেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, সুন্দরবন সাহিত্য পদক, একুশে পদক এবং মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক। ২০০৩ সালে মৃত্যুবরণকারী এই প্রথিতযশা সাহিত্যিকের অন্যান্য রচনার মধ্যে “পদ্মার পলিদ্বীপ”(উপন্যাস), মহাপতঙ্গ(গল্পগ্রন্থ), জাল (গোয়েন্দা উপন্যাস) এখনো সমানভাবে জনপ্রিয়।

লেখক : আহমেদ দীন রুমী

The post বই পরিচিতি : সূর্য-দীঘল বাড়ী appeared first on Bangladesh Study Forum.

নেপোলিয়নের যুদ্ধজয় এবং সান জু’র ৩ টি নীতি

$
0
0

নেপোলিয়ন আমাকে ছোটবেলা থেকেই আকৃষ্ট করেছে। একেবারে সাধারণ একটি পরিবার থেকে উঠে এসে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষ হয়ে যাওয়া সমকালে বিস্ময়কর ছিল, এখনো বিস্ময় জাগায় এবং ভবিষ্যতেও জাগাবে! একজন সাধারণ মানুষ কল্পনায় যা যা দেখেন তা বাস্তবে করে দেখিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন বলে মনে করেন আমেরিকান চিন্তক এমারসন।

এ কারণেই হয়তো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নেপোলিয়ন ভক্তদের দেখা মেলে। আমাদের এখানে নীরদ সি চৌধুরী পরিবার ছিল নেপোলিয়নের পাড় ভক্ত। তাদের পরিবারকে কাছের জন ‘বোনাপার্তিয়ান’ বলে ডাকতো। আমাদের আহমদ ছফাও তার ডায়রীতে নেপোলিয়নের প্রতি তার ভালো লাগা বা আগ্রহের কথা লিখেছেন।

napoleone (1)

এই যে স্থলযুদ্ধে সর্বকালের একজন শ্রেষ্ঠ সেনাপতি ছিলেন নেপোলিয়ন। তার যুদ্ধে অসাধারণ সফলতার পেছনে কারণ কি? সমরবিদরা, মনোবিজ্ঞানীরা তাদের বিভিন্ন মতামত জানিয়ে রেখেছেন। অতি সম্প্রতি একজন মনোবিজ্ঞানীর কাছ থেকে জানলাম নেপোলিয়নের যুদ্ধে সফলতার অন্যতম প্রধান কারণ তার ফোকাস। তিনি শত্রুপক্ষের কোন একটা নির্দিষ্ট অংশকে টার্গেট করতেন সাধারণত সবচেয়ে দুর্বল মনে হতো যে জায়গাটা সেখানটাতে। তারপর সেখানে একের পর এক আক্রমণে একেবারে তছনছ করে দিতেন। তারপর ওই দুর্বল জায়গাটার পথ ধরে শত্রুপক্ষের ভেতরে ডুকে গিয়ে শত্রুর পরাজয় নিশ্চিত করে দিতেন। আর নেপোলিয়ন অপ্রত্যাশিত আক্রমণ করতেন। অস্ট্রিয়ার সাথে যুদ্ধে অস্ট্রিয়ার জানু জানু সেনাপতিরা বেশ বিরক্ত ও ভীতশ্রদ্ধ হয়ে গিয়েছিল তরুন সেনাপতি নেপোলিয়নের প্রথাবিরোধি আক্রমণে। ইউরোপীয় সেই সাম্রাজ্যগুলো যে প্রক্রিয়া ও প্রথা অনুসরণ করে আগে যুদ্ধ করতো নেপোলিয়ন তার অনেককিছুই ভেঙ্গে দেন। আগে উত্তরাধিকার সূত্রে সেনাবাহিনীর উচ্চপদে আসীন হতেন অভিজাত পরিবারের সন্তানরা। কিন্তু নেপোলিয়ন এসে যোগ্যতাগুণে প্রমোশনের ব্যবস্থা করেন। এজন্য সাধারণ সেনাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অনেক জনপ্রিয় এবং একাধিকবার কামানের মুখে জীবন দিয়ে নেপোলিয়নকে রক্ষা করেছিলেন তার সৈন্যরা।

এই যে নেপোলিয়ন শত্রুপক্ষের একটা দুর্বল পয়েন্টকে টার্গেট করে আক্রমণ শানাতেন এটা সান জু’র ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ এর মধ্যে পড়ে। সানজু’র একটা নীতি হচ্ছে- ‘তোমার শত্রুকে জানো, তোমাকে জানো এবং শত যুদ্ধেও তুমি পরাজিত হবে না।’

তোমার শত্রুকে জানো, তোমাকে জানো এবং শত যুদ্ধেও তুমি পরাজিত হবে না।

আরেকটা নীতি হচ্ছে ‘শত্রুর শক্ত অবস্থান এড়িয়ে চলো, শত্রু যেখানে দুর্বল সেখানে আক্রমণ শানাও।’

শত্রুর শক্ত অবস্থান এড়িয়ে চলো, শত্রু যেখানে দুর্বল সেখানে আক্রমণ শানাও।

আর ‘অপ্রত্যাশিতটাই করো’।

অপ্রত্যাশিতটাই করো

তো নেপোলিয়নের সামরিক সাফল্যকে আমরা সানজু’র এ কয়েকটি নীতির মধ্যে সুন্দর করে ফেলে দিতে পারি। নেপোলিয়ন হয়তো সানজুর যুদ্ধনীতি জানতেন বা জানতেন না। কিন্তু বিশ্বের যেকোন যুদ্ধের ফলাফলকে সান জ’র যুদ্ধনীতির ছাঁচে ফেলে দেওয়া যায়। আলেক্সান্ডার থেকে শুরু করে ভিয়েতনামের জেনারেল ভন গিয়েপ অবধি সব সমরবিদের সামরিক সাফল্যকে আমরা সান জু’র ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ এর নীতির মধ্যে ফেলে দিতে পারি। ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ এর শুরুর দিকেই সান জু বলে দিয়েছেন (১৫)- ‘যে সেনাপতি তার পরামর্শ শুনবে সে জয়ী হবে আর যে শুনবে না সে পরাজিত হবে’। এটা আমাদের কাছে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস মনে হতে পারে কিন্তু গত আড়াই হাজার বছরে শত শত যুদ্ধে জয় পরাজয়ের ক্ষেত্রে সান জু’র নীতি কার্যকর হয়ে এসেছে।

আমরা বিশ্ব ইতিহাসের কয়েকটি আলোচিত যুদ্ধের দিকে যদি মনোযোগ দেই তাহলে আমরা সেসব যুদ্ধে জয় পরাজয়ের ক্ষেত্রে সান জুর নীতির কারযকারিতা দেখতে পারবো। আমরা পরবর্তী লেখাগুলো সান জু’র ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবো।

art of war

The post নেপোলিয়নের যুদ্ধজয় এবং সান জু’র ৩ টি নীতি appeared first on Bangladesh Study Forum.

জীবন পাল্টে দেওয়া সিদ্ধান্ত: ৪ মাসে ৫০ বই

$
0
0

চার মাস বা ১২০ দিনে ৫০ টি বই পড়ার টার্গেট নিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশ স্টাডি ফোরামের নতুন প্রোগ্রাম ওডিআই। যারা টি-টুয়েন্টি চ্যালেঞ্জে সফল হয়েছেন শুধু তারা এ প্রোগ্রামে অংশ নেবে। স্টাডি ফোরামের প্রথম টি-টুয়েন্টি চ্যালেঞ্জ শেষ করতে সক্ষম হয়েছেন মোট ১৩ জন সদস্য।

ইংরেজিতে আমাদের এই প্রোগ্রামের নাম  ODI যার বিস্তারিত হচ্ছে- One Distinctive Initiative। আমরা মনে করি এটা হতে পারে আমাদের সদস্যদের জন্য একটি জীবন পাল্টে দেওয়া সিদ্ধান্ত।

তারা আগামী চার মাসে ৫০ টি বই পড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নেমে পড়েছেন ওডিআই-এ! ওডিআই নামকরণ ক্রিকেটের একদিনের ম্যাচ থেকে নেওয়া হয়েছে সেটা বলাই বাহুল্য। ৫০ ওভারের ম্যাচকে অনুকরণ করে আমরা শুরু করেছি ৫০ টি বই পড়ে শেষ করার সংগ্রাম!

read3

টি-টুয়েন্টি চ্যালেঞ্জে যারা অংশ নিয়েছেন এবং শেষ করতে পেরেছেন তাদের এরই মধ্যে নিয়মিত পড়ার একটা অভ্যাস তৈরি হয়ে গেছে এটা নিশ্চিত। আমরা প্রথমত নিয়মিত একটা পড়ার অভ্যাস তৈরি করার জন্য এ প্রোগ্রামটা হাতে নিয়েছিলাম। যারা এই প্রোগ্রামে সফল হতে পেরেছে তারা তাদের অভ্যাসটাকে আরও পাকাপোক্ত করার জন্য ওডিআই-এ নাম লেখাবে।

যে ১৩ জন ওডিআই টিমে আছেন:-

ওডিআই স্কোয়াড

No Name Institutions/Dept/Profession
001 Sabidin Ibrahim Writing
002 Rownok Jahan Psychology, Dhaka University
003 Ahmed Din Rumi Poet, Dhaka University
004 Wali Ullah Dhaka University
005 Abdullah Al Roman Dhaka University
006 M Sohel Rana Physics, Kobi Nazrul College
007 Sagar Barua Psychology, Dhaka University
008 Akhi (Elsa Elsa) Physics, Eden College
009 SM Shahadat Zaman Philosophy, Dhaka University
010 Ruhul Amin Dipu CSE, IUBAT
011 Mehadi Arif English, DU
012 Akteruzzaman Rony Marketing, RU
013 Imran Nafis Islamic Studies, DU

চার মাসে ৫০ টি বই পড়ার চ্যালেঞ্জে যারা নামবে সেটা হতে পারে তাদের জন্য জীবন পাল্টে দেওয়া সিদ্ধান্ত। এই সময়ের মধ্যে যদি তারা ৫০ টি বই পড়ে শেষ করে তাহলে তারা হয়তো সারাজীবনের জন্য একটি ভালো অভ্যাস নিজেদের করে নেবে। আর বই পড়ার সুফল শুধু ব্যক্তি নিজে নয়, দেশ-সমাজ তথা বিশ্ব পেতে পারে। আগামী দিনের ভাবুক, চিন্তক, সমাজতাত্ত্বিক, লেখক, কবি, বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদরা বের হয়ে আসতে পারেন এ প্রক্রিয়ার ভেতর থেকে।

৫০ টি বইয়ের মধ্যে হয়তো এমন একটি বা দুটি বই থাকতে পারে যা সেই পাঠকের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। চিন্তার জগত প্রসারিত করা বা ভাবনার দুনিয়ায় বড় পরিবর্তন নিয়ে আসার ক্ষেত্রে বড় বড় মানুষদের জীবন, কর্ম ও চিন্তার সাথে পরিচিত হওয়া আবশ্যক। আর সেগুলো পাওয়া যায় বইয়ে।

পড়ার কি বহুবিদ লাভ আছে যারা নিয়মিত পড়ে তারাই অনুধাবণ করতে পারে। যারা টি-টুয়েন্টি চ্যালেঞ্জে সফল হয়েছেন তাদেরকে আর সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। এরই মধ্যে সবাই নেমে পড়েছেন ওডিআই চ্যালেঞ্জে।

ওডিআই নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনা:

read8

১. চারমাস অর্থাৎ ১২০ দিনের মধ্যে ৫০ টি বই পড়ে শেষ করতে হবে। আমাদের প্রথম ওডিআই শুরু হচ্ছে বাংলা আষাঢ় মাস থেকে এবং শেষ হবে আশ্বিন মাসে। ইংরেজি জুন মাস থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখ ১১.৫৯ মিনিটে শেষ হবে। এর মধ্যে ৫০ টি বই পড়া শেষ করতে পারলে ওডিআই চ্যালেঞ্জে সফল ধরা হবে। প্রতি দুই বা আড়াই দিনে একটি করে বই পড়ে শেষ করে পুরো করতে পারেন আপনার টার্গেট। আর মাস প্রতি টার্গেট পড়ছে ১২ বা ১৩ টি করে বই। আপনি চারমাসে (১২+১২+১৩+১৩)=৫০ এই সহজ হিসেবেও শেষ করে ফেলতে পারেন আপনার টার্গেট।

২. আপনি যে ক্রিজে আছেন তা জানিয়ে দিন মাঝে মাঝে ছক্কা-চার হাকিয়ে! হ্যা, সেটা হচ্ছে কোন বইটা পড়ছেন সেটা নিয়ে লিখে ফেলুন আর শেয়ার করুন গ্রুপে। আর ৩০০ শব্দের বড় কোন রিভিয়্যু হলে পাঠিয়ে দিতে পারেন বাংলাদেশ স্টাডি ফোরামের ওয়েবসাইটে! প্রকাশিত হবে এবং শেয়ার করা হবে সেই লেখা সবার সাথে!

৩. আপনি আপনার টার্গেটকে ছোট ছোট ভাগ করে শেয়ার করতে পারেন বা পুরো ৫০ টা বইয়ের তালিকাও শেয়ার করতে পারেন আমাদের গ্রুপে।

৪. আপনার পড়াশুনাকে শাণিত করতে আপনার পঠিত বই নিয়ে যোগ দিন দৈনিক আড্ডায়। প্রতিদিনই স্টাডি ফোরামের বন্ধুরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাশে জমায়েত হন বই নিয়ে আড্ডায়। আপনিও যোগ দিতে পারেন বৈকালিক সেসব আড্ডায়।

৫. নির্দিষ্ট সময় শেষে যারা ওডিআই চ্যালেঞ্জে সফল হবেন তাদের নিয়ে পরবর্তী আকর্ষনীয় আরেকটি প্রোগ্রাম ঘোষণা করা হবে। যারা ওডিআই চ্যালেঞ্জে সফল হবেন তাদের বিনা খরচায় বাংলাদেশের একটি সুন্দর প্রাকৃতিক সুষমামণ্ডিত স্থানে ভ্রমণ করিয়ে আনা হবে এবং বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।

last

The post জীবন পাল্টে দেওয়া সিদ্ধান্ত: ৪ মাসে ৫০ বই appeared first on Bangladesh Study Forum.


নীতিমালাঃ স্টাডি ফোরামের বই পড়ার প্রোগ্রাম

$
0
0

জ্ঞানচর্চায় উদ্যমী, উৎসুক, পরিশ্রমী ও আগামীর সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ নির্মাণে প্রত্যয়ী একটি তরুণ সমাজ গড়ে তুলার লক্ষকে সামনে রেখে বাংলাদেশ স্টাডি ফোরাম বই পড়ার বিভিন্ন প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে। এসব প্রোগ্রাম হাতে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ স্টাডি ফোরাম সবসময় জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসাকেই সামনে রাখে। এক্ষেত্রে সবসময় যেন আনন্দটা প্রাধান্য পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে সচেষ্ট স্টাডি ফোরাম। একজন নবীন পাঠককে ধীরে ধীরে বিভিন্ন বই পড়িয়ে কিভাবে দক্ষ, উৎসুক ও নিয়মিত পাঠক বানানো যায় সে পরিকল্পনায় এ ধরণের প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হয়েছে। আমাদের এখন মোট তিনটি প্রোগ্রাম চালু আছে। প্রথমটি হচ্ছে সপ্তাহে একটি বই পড়া, দ্বিতীয়টি হচ্ছে দুইমাসে বিশটি বই পড়া (২য় ব্যাচ শুরু হয়েছে), তৃতীয়টি হচ্ছে চারমাসে পঁঞ্চাশটি বই পড়া। এ তিনটি প্রোগ্রাম একটির সাথে অন্যটি দৃঢ়ভাবে সম্পর্কিত। এর সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য সংক্ষিপ্ত নীতিমালা এখানে পেশ করা হলো:

Botanica_Australia_Wiltshire Garden Statue

(১) প্রথমত জানার প্রতি আগ্রহী করে তোলার জন্য কাজ করে স্টাডি ফোরাম। নবীন জ্ঞান পিপাসুদের অতিরিক্ত বইয়ের ভারে ভারাক্রান্ত করতে চায় না স্টাডি ফোরাম। এজন্য যারা স্টাডি ফোরামে নতুন আসবেন তারা শুধু সাপ্তাহিক লেকচারে অংশগ্রহণ, দৈনিক আড্ডায় সুযোগমত উপস্থিতি এবং মাঝেমাঝে লাইব্রেরিতে আসার এ কয়েকটি কাজ করলেই হবে।

daphine-girl-reading-statue-01-600

(২) যদি নবীন বন্ধুর মনে পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় বলে স্টাডি ফোরামের সিনিয়র সদস্যরা মনে করেন তাহলে তাকে সপ্তাহে একটি বই পড়ার (এ বুক এ উইক) প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ করবেন। এক্ষেত্রে পাঠকের অভিরুচি বা ব্যক্তিত্ব অনুধাবন করে ছোট আকারের, সহজ কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ বা অনুপ্রেরণাদায়ী বই পড়তে দেবেন। মোটকথা, নবীন পাঠকের জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ উদ্দীপক বইয়ের সাজেশন দেবেন। এক্ষেত্রে পাঠকের কাছে বই না থাকলে বই ধার দিয়ে সহায়তা করার জন্য সিনিয়র সদস্যরা প্রস্তুত থাকবেন। অথবা কিভাবে লাইব্রেরি বা বইয়ের বাজার থেকে উক্ত বই সংগ্রহ করা যায় তার দিক-নির্দেশনা দেবেন।

vintage books and a cup of coffee

vintage books and a cup of coffee

(৩) যখন সে পাঠক সপ্তাহে অন্তত একটি বই পড়ে শেষ করতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে, বই নিয়ে কথা বলতে বা লিখতে উৎসাহিত মনে হবে তখন তাকে টি-টুয়েন্টির আহ্বান জানানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে কোন ধরণের চাপাচাপি থেকে বিরত থাকতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমনটাই হবে পাঠক নিজেই টি-টুয়েন্টিতে অংশ নিতে চাইবেন। তখন স্টাডি ফোরামের সিনিয়র সদস্যরা যারা টি-টুয়েন্টি ও ওডিআই শেষ করেছেন তারা পরামর্শ দেবেন কিভাবে টি-টুয়েন্টিতে অংশ নেওয়া যায় এবং সফল হওয়া যায়।

Girl Reading Under an Oak Tree Oil Painting - Winslow Homer

(৪) টি-টুয়েন্টি হচ্ছে দুইমাস বা ৬০ দিনে বিশটি বই পড়ার প্রোগ্রাম।

(৫) টি-টুয়েন্টি চ্যালেঞ্জে যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদেরকে নিয়েই শুরু হবে ওডিআই। ওডিআই হচ্ছে ১২০ দিন বা চারমাসে ৫০ টি বই পড়ার প্রোগ্রাম।

(৬) ওডিআই যারা শেষ করবেন তাদেরকে নিয়ে শুরু হবে টেস্ট ম্যাচ! ছয়মাসে একশোটি বই পড়ার প্রোগ্রাম!

(৭) টি-টুয়েন্টি থেকে যদি শুরু করি তাহলে টি-টুয়েন্টি এর দুইমাস, ওডিআইয়ের চারমাস এবং টেস্টের ছয়মাস মিলিয়ে (২+৪+৬)=১২ মাস বা একবছরে এই বই পড়ার উৎসব শেষ হবে। যারা এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবেন নিশ্চিতভাবে সে বছরটি হবে তাদের জন্য শ্রেষ্ঠ বছর এবং জীবনের টার্নিং পয়েন্ট! এক বছরব্যাপী বই পড়ার ফলে কি পরিবর্তনটা আসবে যারা শেষ করতে পারবে তারা নিজেরাই অনুভব করতে পারবেন।

American Writer Stephen King

American Writer Stephen King

(৯) উল্লেখ্য প্রত্যেকেই যতবার ইচ্ছা ততবার টি-টুয়েন্টিতে অংশ নিতে পারবে। কিন্তু দুইমাসে বিশটি বই পড়ে যখন শেষ করতে পারবেন তখন তিনি ওডিআই এ নাম লেখাতে পারবেন। ঠিক একইভাবে যারা চারমাসে ৫০ টি বই পড়তে সক্ষম হবেন তারা টেস্টে নাম লেখাতে পারবেন। এর আগে ওডিআই এ যতবার ইচ্ছা ততবার অংশ নিতে পারবেন। যেবার চারমাসে ৫০ টি বই শেষ হবে সেবার থেকে ওডিআই শেষ করা সদস্য হিসেবে গণ্য করা হবে। যাদেরকে নিয়ে শুরু হবে স্টাডি ফোরামের ম্যারাথন রিডিং কর্মসূচি টেস্ট ম্যাচ যেখানে ৬ মাস বা ১৮০ দিনে ১০০ টি বই পড়ার কর্মসূচি চালু হবে!

2

আরও বিস্তারিত জানার জন্য প্রয়োজনে নিম্নোক্ত লিংকগুলোর সহায়তা নিতে পারেন:

১. http://www.bdsfbd.com/archives/1072

২. http://www.bdsfbd.com/archives/847

৩. http://www.bdsfbd.com/archives/1644

৪. http://www.bdsfbd.com/archives/1926

৫. http://www.bdsfbd.com/archives/1991

The post নীতিমালাঃ স্টাডি ফোরামের বই পড়ার প্রোগ্রাম appeared first on Bangladesh Study Forum.

গ্রামবাসীর ডায়রী

$
0
0

পূর্বমুখী বারান্দার সামনে বৈদ্যুতিক বাল্বের আলো পেরিয়ে দিগন্তজোড়া অন্ধকার। সেই অন্ধকারে ডুবে যাওয়া বাঁশঝাড় থেকে অসংখ্য ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ ভেসে আসছে। বারান্দার সামনেই লেজকাটা কুকুরটা আয়েশী ভঙ্গিতে ঘুমিয়ে আছে।

দশম রমযানের চাঁদ মাথার উপরে। অগোছালো মেঘের কারণে তার রূপালী আলো পৃথিবীকে আলোকিত করছে না। বাড়ির পাশের গোরস্তানে এই বাড়ির শত শত বছরের ইতিহাস ঘুমিয়ে আছে। এই বংশেরই কত নাম জানা, না জানা সদস্য পৃথিবীর সব হিসেব মিটিয়ে কবরের অন্ধকারে চলে গেছেন!

এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশে আমি স্মৃতিকাতরতায় ডুবে আছি। শত বছর পেছনে ফিরে গিয়ে সেই সময়ে এই বাড়ির পরিবেশ, এই গ্রামের অবস্থা কল্পনায় আঁকতে চেষ্টা করছি। ঠিকমতো হচ্ছে না, কেমন যেন হিজিবিজি!

আচ্ছা, গ্রামের প্রায় মাঝখান দিয়ে যে পাকা সড়কটা চলে গেছে, শত বছর আগে সেটা কেমন ছিল? গ্রামের উত্তর সীমানার ক্ষীরু নদীর স্রোতগুলো নিশ্চয়ই প্রবল ছিল সতেরো/আঠারো শতকের গোড়ার দিকে? শাজাহান যখন যমুনার তীরে তাজমহল তৈরী করছিলেন, তখন কি তাজমহলের নুড়ি এই জলে মিশেছিল?

অথবা নবাব সিরাজউদ্দৌলা যখন ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলেন, তখন এই গ্রামের মানুষগুলো কি করছিলেন? তাঁরা কি খবর পেয়েছিলেন? আরাকান রাজসভায় আলাওল যখন পদ্মাবতীর রূপ বর্ণনা করছিলেন, তখন ক্ষীরু নদীর তীরে এই গ্রামের কোন চাষা কি তাঁর বউকে নিয়ে হাজার বছর বাঁচার স্বপ্ন দেখছিল?

আচ্ছা, হাজার বছর আগের এমনই এক আধো-জ্যোৎস্না রাতে এই গ্রামের কোন যুবতী কি গুনগুনিয়ে গান গেয়েছিল? কেন যেন এমন মনে হচ্ছে! ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকের সাথে যেন সেই সুর হাজার বছর ধরে বেজে চলেছে ….!

এই পরিবেশ আমাকে গ্রাস করে ফেলেছে। আমি অন্ধকারের সাথে যেন এই বাড়ির, এই গ্রামের হাজার বছরের ইতিহাসের সাথে মিশিয়ে ফেলেছি নিজেকে! আমার মনে হচ্ছে এই অন্ধকার আমার হাজার বছরের পরিচিত। এই ঝিঁঝিঁ পোকাদের গান যেন আমি যুগ যুগ ধরে শুনে আসছি। এই গ্রামের সহস্র বছরের ইতিহাস যেন আমাতে এসে মিলেছে ………

আমি ভালবাসি এই পরিবেশ। ভালবাসি এই গ্রাম। ভালবাসি জঙ্গলবাড়ী। ভালবাসি ক্ষীরু নদী।

bad-boys

                  

লেখক: Mahedi Kawser Farazi

 

The post গ্রামবাসীর ডায়রী appeared first on Bangladesh Study Forum.

মধুর ক্যান্টিনে বিশিষ্টজনদের সাথে আড্ডা

$
0
0

মধুর ক্যান্টিনে গতকাল সন্ধ্যায় কিছু গুণী মানুষের সাথে বাংলাদেশ স্টাডি ফোরামের বন্ধুদের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে । আলোচনা হয়েছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ।

দীপ্তিমান সেনগুপ্ত পশ্চিমবঙ্গের সাবেক বাম ফরোয়ার্ডের নেতা । তিনি বাংলাদেশ- ভারত ছিটমহল আন্দোলন কমিটির সহ- সম্পাদক ছিলেন । ছিটমহল এখন বিলুপ্ত হলে ও ভুলেন নি আন্দোলনের দীর্ঘ দিনের সাথী ছিটমহল আন্দোলনের কিংবদন্তী লেখক ও গবেষক এএসএম ইউনুসের কথা । তাই ছুটে চলে আসলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের মধুর ক্যান্টিনে । আন্দোলনের সেসব দিনের কথা শেয়ার করেন আমদের সাথে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে  ছিটমহল বাসিদের জন্য অনেক মানববন্ধন হয় । বিলুপ্ত ছিটমহল নিয়ে নানা আলোচনা আসে আড্ডায় ।

 

 

WP_20160616_19_38_09_Pro

বিডিএসএফ বন্ধুদের সাথে অথিতিরা

 

নৃবিজ্ঞানী রহমান নাসির উদ্দিন স্যার বাংলাদেশ স্টাডি ফোরামের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চান । স্যার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়য়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক । রওনক জাহানের সাথে জিয়া হায়দারের প্রথম উপন্যাস   ‘ইন দ্য লাইট অফ হোয়াট ইউ নো’ নিয়ে আলোচনা করেন ।

WP_20160616_19_38_52_Pro

আড্ডা চলছে

আড্ডার টেবিলে আরো ছিলেন গবেষক অনুরাধা সেন । তিনি জাতিসংঘে গবেষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন । বর্তমানে জেনেভায় পিএইচডি ডিগ্রি করছেন । স্টাডি ফোরামের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেন নিজের অভিজ্ঞতা । নিজের বানানো কেক নিয়ে আসেন স্টাডি ফোরামের বন্ধুদের জন্য ।

WP_20160616_20_05_53_Pro

শেষমুহূর্তে এসে রওনক জাহানের ছবি তোলার আকুতি

বাংলাদেশ স্টাডি ফোরামের পক্ষে লেখক ও গবেষক এএসএম ইউনুস, রওনক জাহান, সাগর বড়ুয়া, নিলয় হান্নান উপস্থিত ছিলেন ।

 

 

 

 

The post মধুর ক্যান্টিনে বিশিষ্টজনদের সাথে আড্ডা appeared first on Bangladesh Study Forum.

গ্রামবার্তায় লিখুন গ্রামের কথা

$
0
0

গ্রাম নিয়ে, গ্রামের মানুষদের নিয়ে, গ্রামের খাবার, খেলাধূলা, অবসর কাটানোর কাজ, গ্রামের নায়ক, গ্রামের সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে লেখা থাকলে আমরা পড়তে ও প্রকাশ করতে আগ্রহী। ক্যাম্পাস বন্ধ, আপনি ছুটিতে। চলে এসেছেন গ্রামে। লিখে ফেলুন না আপনার গ্রাম নিয়ে একটি ফিচার।

গ্রামবার্তায় কি কি বিষয়ে লিখতে পারেন তার একটি সাজেশন দেওয়া হলো:

১. আপনার গ্রামটি নিয়ে একটি ফিচার হতে পারে। গ্রামটি কত পুরনো, গ্রামের ইতহাস ঐতিহ্য, গ্রামের ভৌগলিক অবস্থান, খাল-বিল, দীঘি, নদীনালার কথা।

download

২. গ্রামের কোন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র নিয়ে ফিচার হতে পারে। আপনার গ্রাম থেকে এখন পর্যন্ত যেসব বিশিষ্টজন বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাদেরকে নিয়ে লিখতে পারেন।

2015-05-17 10-28-09.844687

A winter morning

৩. আপনার গ্রামটির বিশেষত্ব নিয়ে লিখতে পারেন, এটা অন্য গ্রাম থেকে ভিন্ন কিনা বা যদি কোন কারণে ভিন্ন হয় সেটা কি কারণে।

Late evening in Siolim

Late evening

৪. আপনার গ্রামের খেলাধূলা নিয়ে লিখতে পারেন। অনেক গ্রামে বিভিন্ন ধরণের খেলার উদ্ভব ও চল হয়ে থাকে। সেগুলো নিয়ে লিখতে পারেন।

Traditional bull fighting in Bangladesh, locally called Sharer Lorai and it is one of the

Traditional bull fighting in Bangladesh, locally called Sharer Lorai

৫. আপনার গ্রামের ফসলাদি, খাওয়া-দাওয়া, মানুষের পেশা, মানুষের রুচি, অবসর বিনোদন ইত্যাদি নিয়ে লিখতে পারেন। আসতে পারে বিভিন্ন পিঠাপুলি, মিষ্টান্ন, আচার বা বাহারী খাবারের বর্ণনা।

image

Passing Leisure time with gossip

৬. গ্রামের নায়কদের নিয়ে লিখতে পারেন। প্রত্যেক গ্রামেই এক বা একাধিক হিরো থাকে। তারা যে সবসময় মেম্বার চেয়ারম্যান হবে এমন নয়, একেবারে সাধারণের মধ্যে থেকে অসাধারণ কাজ করা চরিত্র থাকে। তাদের কথা পত্রিকায় কখনো আসে না। তাদের নিয়ে লিখে পাঠান।

Info ladies are moving towards different villages for attending clients by riding their bicycle. Their day starts at 6 am of the morning and finishes at 10 pm of the night. Gaibanda, Bangladesh

Info ladies are moving towards different villages for attending clients by riding their bicycle. Their day starts at 6 am of the morning and finishes at 10 pm of the night. Gaibanda, Bangladesh

৭. আপনার গ্রামের শিল্পী, গায়ক, বংশীবাদক, অভিনেতা, লেখক, কবিদের নিয়ে লিখুন।

মোটকথা, আপনার লেখাতে যেন লেগে থাকে গ্রামের মাটি ও মানুষের গন্ধ, জলের ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ, বাঁশঝাড়ে বাঁশের উদ্দম নৃত্য, অনাদরে ফুটে থাকা বিভিন্ন বুনোফুলের সংবাদ আর গ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্যের বাহারী বিত্তান্ত!

লেখা পাঠিয়ে দিন আর সাথে পাঠান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ছবি।

মেইল: author@bdsfbd.com

The post গ্রামবার্তায় লিখুন গ্রামের কথা appeared first on Bangladesh Study Forum.

Teacher’s Notebook – 4

$
0
0
1991375
Your performance as a teacher in classroom is not depended only on your preparation for the class lecture. You may have worked hours to design a beautiful lesson plan, to prepare lecture materials and to find appropriate classroom exercises for your students to practice during your class, still you may fail to deliver an effective lecture to your students. My bitter experience of Yesterday taught me that.
It usually takes 15 minutes at best during vacations and holidays to go to Farmgate from Motijheel by bus, 30 minutes to 45 minutes at best in workdays. Yesterday, I took a bus at around 9 am and I reached Farmgate, my workplace at UAP around 11 am, exactly on the time my first class of the day starts. I barely managed to reach on time after changing 3 buses to cross this short distance from Motijheel to Shahbag, then I had to walk almost the whole path from Shahbag to Farmgate. There was this unbearable traffic of which I had no clue.
So when I arrived at my campus I was all sweated up and exhausted. When you appear before your students, you don’t want yourself to look clumsy or unsettled. But as I stepped into my office, sat before my desk – I knew I look horribly unprepared for the class because all the running that I had. So I called up the class representative and told him that I would take ten more minutes to cool myself down. Naturally a short ten minutes rest did not come out sufficient to refresh me and I felt I was stumbling while delivering the lecture. But my students were gentle enough to bear up with me. They patiently listened to my lecture, responded in between and completed all the exercises I gave them during the class. However there is a thing called teachers satisfaction, which I didn’t get yesterday after delivering my lecture. Nonetheless, the next class in which I worked on the speaking skills of another batch of my students went on quite good. I got plenty of time to take rest and prepare for it.
So that’s my observation for today. Teaching is more of a performance art. Performing before your students doesn’t depend only on the depth of knowledge of a teacher or how well prepared he/she is for it. In Bangladesh you have to prepare a mindset that things beyond your imagination will intervene between your desired level of performance and real performance. As a young teacher it gave me a lot of pain to swallow up that my lesson plan might not work out because of the intervention of traffic on the road, but I think with span of time I would grow up and learn to accept the reality with less guilt and agony of my conscience.
Also, teaching experience for a novice teacher is almost a duty of circus juggler. I am planning to write an elaborate academic paper on it. I mean I must.

The post Teacher’s Notebook – 4 appeared first on Bangladesh Study Forum.

Teacher’s Notebook – 5

$
0
0

why-am-I-here

 

The expression that I read in the faces of my students, while I entered into the classroom for the first time in my life as a teacher was – wonder! I tucked myself into my most formal outfit. I took all the necessary steps to make myself look appropriate as a teacher. Still, I could understand that somehow it was hard for my students to believe that I am their course teacher. It was the introductory class of one of the foundation courses in Department of CSE, UAP. The number of the students was around 50.
I had two central concerns before entering the classroom. Among them, the first one was whether I could manage my students. What would I do if they do not follow my commands? How do I tackle the situation if some of them appear to be rude and unmanageable? The second one was- how do I spend 1 hour and 20 minutes in an introductory class?
Entering into the class, I ask them to settle down and start calling the roll numbers. I feel myself a bit shaky because I do not have a powerful/strong voice. Will it reach to the very last corner of the room? I remember sharing this problem with my Idol teacher, Fakrul Alam sir. Sir advised me to walk back and forth while lecturing. But now as I am calling rolls I can’t walk. However, my students within the class come out supportive. They keep quiet until I am done with the roll call.
I sketched some plans regarding today’s class last night. I start working as accordingly. I ask everyone to tell their name, from where they are and WHY they are here. I mean, why they want to become an Engineer. I guess they are not familiar with the process. They do tell their names and backgrounds quite easily but while telling the reason WHY engineering most of them are puzzled. Most of them have not pondered upon why they have chosen to become an Engineer. The first few start giving usual and made up answers like CSE is the best, from my childhood I wanted to study CSE, it’s my parents dream that I should become a computer engineer. I stop them and ask them to think again and share the true reason. Because it is a decision regarding their life and they have to be true to themselves at first, later on to me and to rest of the class.
Meanwhile I write on the top of the white board using my marker – “Why I Choose to Become an Engineer?”
They take five minutes to think, then start giving answers. Within half an hour I am done with listening from all of them. I get three types of answer which divided them into three categories. The first category, occupying the largest number of students, answered that they have come to study CSE because of pressure from their family, their cousins, neighbors and peers. Some of them bluntly stated that they have absolutely no idea why they are even here! Then there was a second category of students who answered that – they have taken CSE because this subject has good market value, it offers good job facilities and they would be able to earn a lot of money through it. The third and last group of students who were the smallest in number (perhaps 3-4 among 50) answered that they are studying CSE because they feel that they are naturally gifted in programming, interested in making software or games, they want to run their own software farms one day.
When they are done giving their answers I make three columns on the whiteboard and write three categories of answers on it. The sentences on the whiteboard mostly looked like this:
“WHY I am here?
1. I have taken CSE because my father/mother/brother/uncle/friend told me.
2. I have absolutely no idea why I have taken CSE.
3. I have taken CSE to get a good job and earn a lot of money.
4. I have taken CSE because I am good in programming or with software.
Then I ask them to judge by themselves, which answer/s from their point of views seem appropriate and which do not. They answered , the explanation given by the first category seemed most ridicules, the second category as practical and the third category as noble but not applicable. Meanwhile I ask them not to laugh at their friends’ answers. I remind them how tough it is in Bangladesh to get subjects of their actual interest.
I tell them, those who answered that they are here because of their parent’s or peers’ pressure, that their parents or siblings or friends are not going to live their (my students’) lives. Everybody has their individual journeys. So if they are here to make someone else’s dream true, the next four years of their lives are going to be a living hell. I tell my second group of students, who answered that they have taken this subject because they want to earn money and this subject will ensure a bright future, that – earning money through a degree also can’t be the sole reason for choosing a particular field. I tell them to remember that they will meet up with people having lesser educational qualifications but earning tons of money and providing jobs to students who have been very meritorious in their student life. If they have come to pursue a degree only with an aim to earn money through this, they will get frustrated seeing them. I tell to my third group of students that they are on the right track, because, they have taken the subject out of their passion, because they are good at it. They will not feel as a sufferer. If they can merge their passion for this with the academic texts which will be taught during the next four years, each one of them will come out as champions.
I congratulate all of them for starting a new journey, their University life. I don’t give them any Dos and Don’ts in my class. I leave the classroom with two suggestions for them – one, trying to contextualize everything they read with their real life, so that they can use the knowledge to solve everyday problems. Two, I ask them to think creatively, view things creatively, analyze problems creatively and come out with unique solutions to the problems that no one has ever been able to provide before. I also ask them to do more research on people who are successful in home and abroad on their respective field.
When I step out from the classroom, I am no more a confused, shaky teacher. I have successfully installed the process of thinking among some young minds. I am a happier person now.

The post Teacher’s Notebook – 5 appeared first on Bangladesh Study Forum.

গবেষণায় হাতে খড়ি

$
0
0
বই: গবেষণায় হাতে খড়ি
লেখক: রাগিব হাসান
গবেষণায় পান্ডিত্য অর্জন করতে হলে প্রচুর স্টাডি করাই শক্তিশালী মাধ্যম। তবে ক চ ট ত প বা খ ছ ঠ থ ফ এর মত মুখস্থ করে স্টাডি করা না। রিসার্চ এরিয়া সিলেক্ট করতে হবে লাইব্রেরী থেকে একশত বই পড়ে। এ প্রসঙ্গে কম্পিউটার বিজ্ঞানী ড:রাগিব হাসান বলেছেন Google scholar, Scopus, web of science এ সার্চ দিয়ে নানা গবেষণা পত্রের লিংক দেখে নিতে। তারপর করে ফেলতে হবে কিছু আবশ্যকীয় প্রশ্ন তালিকা। কি কাজ করতে চাচ্ছেন, কাজ টা কিভাবে সম্পন্ন করবেন, কাজের রিস্ক, সময়, বাজেট, কারা উপকৃত হবে এসব কিছু দিয়ে একটা খসড়া চিত্র করা যেতে পারে।
ভয় কে করতে হবে জয়। পুস্তকের কাজ থেকে একশত হাত দূরে থাকলে আইডিয়া পাওয়া যাবে না। প্রচুর বই, জার্নাল পড়তে হবে। ধরুন, আপনার নিকট সমস্যা হল কোন স্টাডি ক্যাম্পের আয়োজন করা। এর জন্য সবার আগে সমস্যা কে বিশ্লেষণ করতে হবে। বের করতে পারেন কয়েকটা উপায়। স্টাডি ক্যাম্পের জন্য একটা খসড়া করতে হবে। যেখানে সময় বন্টনের সাথে সাথে অন্তর্ভূক্ত থাকবে যাত্রা শুরু থেকে শেষ অবধি সকল কর্মসূচি। ব্রেইনে সেই খসড়াটি শুধু সেইভ রেখে সুষ্ঠু ভাবে সফল স্টাডি ক্যাম্পিং করা যাবে।
“লাগে টাকা দিবে গৌরিসেন” এটা শুধু প্রবাদেই সীমাবদ্ধ না। গবেষণার জন্য বিভিন্ন স্কলারশীপের মাধ্যমে অর্থের যোগান দেয়া যেতে পারে। সর্বোপরি ধৈর্য, সততা, পরিশ্রম, সহযোগিতা, বিনয় আর প্রত্যাখান কে সহজ ভাবে নিয়ে আপনি ও হয়ে উঠতে পারেন গবেষক । 
লেখক : রওনক জাহান , মনোবিজ্ঞান বিভাগ , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ।

The post গবেষণায় হাতে খড়ি appeared first on Bangladesh Study Forum.


গ্রামের একটি পাঠাগারের গল্প

$
0
0

টেষ্ট পরীক্ষার পর ভাল কোচিং এর জন্য প্রথম গ্রাম ছাড়ি। তখনি প্রথম বাহিরে থাকি। বাহিরে থাকলেও দুই তিন বার বাড়ীতে আসা যাওয়া করতাম। এসএসসি পরীক্ষার সময় বাহিরে থাকি। এই সময় পরিবারের সকলেই বাসা নিয়ে শহরে চলে যায়। বাবা যদিও স্থায়ি ভাবে যাননি চাকরির জন্য। পরিক্ষা শেষে বাড়ি কাটে কয়েকদিন।

একদিন বিকেলে সকলের সাথে আড্ডা দেবার পর বাড়ীতে ফিরার সময় এক বড় ভাই বলে কাল স্কুলের ঐখানে এসো পাঠাগার তৈরি করা নিয়ে আলোচনা হবে। পরের দিন সেই খানে গিয়ে দেখি ঢা.বি.পড়া এক ভাই এর উদ্যোগ নিয়েছেন। সকলেই আলোচনায় বসি। সকলেই পুরাতন একটা স্কুল ঘরকে নির্ধারণ করি পাঠাগার এর জন্য। দুই দিন পর এই সিদ্ধান্ত পাল্টানো হয় ঘরটা ঝুকিপূর্ন হওয়ার কারণে। এর পর অন্য একটা ঘর এর কথা বলা হয়। কিন্তু তা লোকালয় থেকে দূরে হয়ে যায়। হঠাৎ করেই কথা উঠে স্কুলের পূর্ব পার্শের পুরাতন দোকানের। সকলে মিলে মালিকের সাথে কথা বলে দোকানটি নেয়। আর তখনি পরিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়ে তা করে ফেলে যদিও বাহিরে হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। পরের দিন চালু করার সিদ্ধান্ত হয়।

পাঠাগার পরিস্কার করার পর

পাঠাগার পরিস্কার করার পর

পরের দিন। কয়েক জনের সংগ্রহের মোট ২১টি বই, এক জোড়া বেঞ্চ, কাঠের একটি তাক দিয়েই চালু করা হয় পাঠাগারটি। এলাকার একজন প্রকৌশলীকে সাথে নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় পাঠাগারটির। নাম দেওয়া হয় “জঙ্গলবাড়ী বাতিঘর”। এটি চালু রাখার জন্যই আর শহরে যাওয়া হয় নি। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এখন কলেজে ভর্তির সময় এসে গেছে।এর জন্য গ্রাম ছাড়তে হবে। কেমনে যে ঐ ইট পাথরের শহরে থাকবো এই সুন্দর প্রকৃতি ছেড়ে। ভালবাসি গ্রাম, গ্রাম এর সব কিছু। চালু থাকুক আমাদের পাঠাগারটি।

jangalbooks

বই উপহার দিয়ে এগিয়ে আসছে গ্রামের বন্ধুরা!

প্রতিটি গ্রাম জ্বলে উঠুক জ্ঞানের আলোতে!

মোহাম্মদ মাহমুদুল হোসাইন ফিরদাউস

সদস্য, জঙ্গলবাড়ী বাতিঘর

The post গ্রামের একটি পাঠাগারের গল্প appeared first on Bangladesh Study Forum.

ব্রাহ্ম সমাজের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

$
0
0

১৮২৮ সালে রাজা রামমোহন রায় ধর্মসমালোচনামূলক প্রতিষ্ঠান ব্রাহ্ম সভা প্রতিষ্ঠা করেন । ব্রাহ্ম সভাই পরবর্তীতে ব্রাহ্ম সমাজ নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে । ব্রাহ্ম সভার মাধ্যমেই রামমোহন প্রচার করেন তার নতুন ধর্মীয় মতবাদ । রামমোহন ধর্মীয় সত্য অনুসন্ধানের আগ্রহে প্রচলিত ধর্মসমূহের মূলগ্রন্থ পাঠ করেন । বেদের পাশাপাশি আরবি ও ফারসি ভাষার কুরআন এবং হিব্রু ও গ্রিক ভাষার বাইবেল অধ্যয়ন করেন । তিনি দেখেন প্রত্যেক ধর্মের উদ্দেশ্য অভিন্ন, তাই মানব জাতি জাগরণ ও পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে প্রত্যেক ধর্মের পুনঃব্যাখ্যা প্রয়োজন । তিনি প্রত্যেক ধর্মের কুসংস্কার সমূহ বাদ দিয়ে নৈতিক উপদেশাবলি গ্রহণ করেন । যদিও নতুন সমাজের নতুন তাত্ত্বিক দাবি ছিল, এটাকে সার্বজনীন ধর্ম হিসেবে বিবেচনা করা । তবুও এটি হিন্দু ধর্মের শাখায় পরিণত হয় ও সেভাবেই বিরাজমান ছিল । তিনি এই মতবাদের উপর ব্রহ্মোপাসনা ও বেদান্ত নামে দুটি গ্রন্থ ও রচনা করেন ।

১৮৩৩ সালে রামমোহনের মৃত্যুর পর আন্দোলনটি বাধার সম্মুখীন হয় । পরে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কাজটি হাতে নেন । তিনি ১৮৩৯ সালে “তত্ত্ববোধিনী সভা” নামে একটি সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন । তিনি  “তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা” নামে একটি পত্রিকা ও বের করেন । ধর্মবিশ্বাস প্রচারের পাশাপাশি এটি সামাজিক কুসংস্কারসমূহ সমাধানের পক্ষে জনমত গড়ে তোলে ।

ব্রাহ্ম সমাজের মধ্য থেকে একটি শ্রেণী দাবি করে বেদ পুরোপুরি নির্ভুল নয় । ১৮৪৭ সালে  সবাই বলে বেদের অভ্রান্ত যুক্তি সমূহ গ্রহণযোগ্য নয় । তাই উপনিষদের নির্বাচিত অংশসমূহ নিয়ে ব্রহ্ম ধর্ম বিশ্বাসের পুননির্মাণের প্রচেষ্টা করা হয় । সংশোধিত অংশটি ১৮৫০ সালে “ ব্রাহ্মধর্ম ” নামে বই আকারে প্রকাশিত হয় । ১৮৫৭ সালে কেসবচন্দ্র সেনের আগমনে আন্দোলনের ব্যাপকতা বাড়ে ।

বর্ণপ্রথা ও সমাজ সংস্কার নিয়ে কেসব ও দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয় । দেবেন্দ্রনাথ ছিলেন কিছুটা রক্ষণশীল । ১৮৬৮ সালে কেশবচন্দ্র ব্রাহ্ম সমাজ নামে নতুন একটি সমাজ চালু করেন । অন্যটি দেবেন্দ্রনাথের নেতৃত্বে “ আদি ব্রহ্ম সমাজ” নামে পরিচিতি লাভ করে । তার উদ্যোগে ১৮৭২ সালে সিভিল বিবাহ আইন পাশ হয় ।

কেশবচন্দ্র হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, ইসলাম ধর্ম, খ্রিস্টান ধর্মের সারাংশ আহরণ করে সমন্বয় করার চেষ্টা করেন  । ১৮৮০ সালে ধর্মীয় ধ্যান-ধারণা কিছুটা সীমিত আকার ধারণ করে যখন তিনি “নব বিধান” অথবা নতুন নিয়ম নামে তার ধর্মীয় বিশ্বাস জনসমক্ষে ঘোষণা করেন । কেশবের কিছু কার্যকলাপ তরুণদের ক্ষিপ্ত করে । ব্রিটিশ সরকারের প্রতি ছিল তার আনুগত্য ।

শিবনাথ শাস্ত্রী ও আনন্দমোহন বসু কেশবচন্দ্রের সমাজ থকে বেরিয়ে আসে । ১৮৭৮ সালে নতুন ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয় ।

লেখক :সাগর বড়ুয়া

The post ব্রাহ্ম সমাজের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি appeared first on Bangladesh Study Forum.

অপরূপ গেঁয়ো ফুল!

$
0
0

গ্রামে অনাদরেই পরে থাকে অনেক সুন্দর ফুল। সেসব সৌন্দর্য দেখতে হলে বিশেষ চোখ থাকতে হয় না শুধু আশে পাশে উঁকি দিলেই সব সৌন্দর্য। নিয়ে এগিয়ে আসবে গ্রামের ফুল, গ্রামের রূপ। সৌখিন আলোকচিত্রী আল আমিন সরকার আকাশ এর ক্যামেরায় উঠে এসেছে এমন কিছু ফুলের সংবাদ। উপভোগ করুন নয়নজুড়ানো রূপ!

 

২

৭৬৫

৩

ঘাসফড়িং

৪

মোহময়ী ফড়িং!

৮

শেষ বিকালের সূর্য নেমে আসছে গ্রামের আকাশে

 

আলোকচিত্রী:

Al Amin Sarker Akash
আল আমিন

আল আমিন

The post অপরূপ গেঁয়ো ফুল! appeared first on Bangladesh Study Forum.

Exploraing Mass Psyche in Literature and Politics

$
0
0

What is right is right and what is wrong is more right! What is matter how you manipulate, infuse or confuse people and all the gullible Gulliver’s. There are some personalities who can rise above the limitations and weaknesses of the common nature. And they can also control the mass psyche. The history of world civilisations is not in want of such personalities or never suffers from the scarcity of them.

julias

I will deal with two Roman history plays of Shakespeare and some historical figures and events.

In Julius Caesar and in Coriolanus, Shakespeare dealt well with mass psyche and its nature. How mass sentiment can be aroused with slight motivation, how they can be used to achieve a goal and how fickle mass psyche is most of the cases; we will get a clear picture of those elements in this two plays.

In Julius Caesar we will find the same citizens of Rome who stand for Julius Caesar, Brutus and Mark Antony one after another. In the 1st act, scene one of Julius Caesar we will see a commoner expressing to the city guards: “We make the holiday, to see Caesar and to rejoice in his triumph.” By doing so they forgot their earlier master Pompey whom they loved and admired no less than Julius Caesar! It is that crowd who offered crown thrice to Caesar and made him all powerful and possible emperor of Rome and autocrat. Interestingly they all were driven again with the conspiracy of Caius Cassius, Casca, Cinna and Brutus.

After stabbing Caesar in a brutal and cowardly manner Brutus, dear friend of Caesar gave a speech in support of their killing of the possible autocrat of Rome. Every citizens present there were behind Brutus and the conspirators’ action!

To our utter surprise when Mark Antony summoned the same citizens with this fashion: “Friends, Romans, Countrymen, lend me your ears”(act 3, scene 2, line 73) and gave a powerful and evocative speech in praise of Julius Caesar and against his cruel killing, the crowd started changing their stands again! He deftly turns the public opinion against the assassination by manipulating the emotions of the mass people in contrast to the rational tone of the Brutus’s speech. Antony rouses the mob to drive the conspirators from Rome. Amid the violence, the innocent poet, Cinna, is confused with the conspirator Lucius Cinna and is murdered by the mob. It’s again a typical nature of mass function in all ages.

In Coriolanus we will see almost the same scenario. Though Caius Martius, later Coriolanus had very rough views on masses that he sometimes called/termed as “dissentious rogues” (act 1, scene 1, line 162) he provided us with some harsh truths of the mass psyche. How weak and vulnerable mass psyche is, he pointed it out by this comment when said- “He that trusts to you, where he should find you lions, finds you hares;…”(act 1, scene 1, line 170). He goes further saying-“Who deserves greatness, deserves your hate; and your affections are a sick man’s appetite.”( line 176)

coriolanus

Let us glance at some of the historical events and characters who were behind those: Benito Mussolini and Adolf Hitler, two prophets of Fascism and Nazism were two of the tycoons who could control mass psyche better than anyone else of their time and most probably of all times! They could infuse, confuse and manipulate masses to their utmost level and made them do what they wanted to.

It is said in the last days of the second world war when Germany was losing, only Berlin remained unconquered by the allied forces Hitler could still nurture such a strength in his speech that as if they were going to win the battle soon. Those who were presented there would have such confident feelings.

Let’s come to Indian subcontinent. Bal Gangader Tilak, Mahatma Gandhi, M.A. Jinnah, Jawaharlal Nehru, Mowlana Bhasani and Bangabandhu were some of the figures who had a stronghold over mass psyche. Yet they most of the time used it for the welfare of the masses with some major exceptions of Bal Gangader Tilak, Bipin Pal, B. Patel and M.A. Jinnah.

As I was going through selected writings of Jawaharlal Nehru I found some confidential notes on events and disturbances in Bihar riot in 1946, which came in aftermath of Noakhali and Calcutta riot.

He wrote, “Bihar is a province with a sturdy and yet a very poor peasantry. They are a likable people, easily led and sometimes easily misled. Perhaps more than anyone in India, they have a capacity for mass functioning. Mass psychology pervades them and, if an idea gets hold of the people, they are prepared to act ‘en masse’ in furthermore of that idea.”

In another of his statement in an assembly debate he said, “One of the worst features of the situation is the dominance of rumors which exaggerate everything and sometimes create out of nothing. The most fantastic accounts spread rapidly and are believed in.”

I think it’s a beautiful example which tells us how mass psyche works, reacts and functions.

mass

At this juncture I want to conclude by saying that by controlling mass psyche so many good things had done by some great sons of history and at the same so many worst things also came on earth.  It creates and destroys with the same hand! Now there are only two choices ahead of us: will we turn into masses and be controlled by some idiots to the hell or we become the controller of mass psyche and lead them forward for a goal?

 

Sabidin Ibrahim

This article first appeared in the daily observer

The post Exploraing Mass Psyche in Literature and Politics appeared first on Bangladesh Study Forum.

আজ বিডিএসএফ ইফতার সন্ধ্যা

$
0
0

আজ ২০ জুন ২০১৬ রোজ সোমবার বাংলাদেশ স্টাডি ফোরাম এক ইফতার সন্ধ্যার আয়োজন করতে যাচ্ছে । উপস্থিত হবেন স্টাডি ফোরামের নবীন ‍পুরনো সদস্যরা। আলোচনা হবে বই নিয়ে, চলমান প্রোগ্রামগুলো নিয়ে এবং আগামীর কাজগুলো কিভাবে করা যায় সেগুলো নিয়ে। যত আগে আসা যায় ততই মঙ্গল। আপনার পরামর্শও সাথে নিয়ে আসবেন। কিভাবে আমরা আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারি, আর কি নতুন প্রোগ্রাম হাতে নিতে পারি সেগুলো নিয়ে জানিয়ে দিতে পারেন আপনার চিন্তা।

iftar all set

ইফতার ২০১৫: সাফা ও নইনি মুসার নেতৃত্বে ইফতার আয়োজন চলছিল! ম্যানেজার ছিলেন জুয়েল রানা!

সবার উপস্থিতিতে একটি সুন্দর ইফতারের অপেক্ষায়-পুরো বিডিএসএফ

তারিখ: ২০ জুন ২০১৬

স্থান : ডাকসু ২য় তলা

সময়: বিকাল ৫ টা

ফি: ১০০ টাকা ( জুনিয়র), ৩০০ টাকা ( সিনিয়র)

আসন সংখ্যা খুবই সীমিত । আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে ইফতার করার সুযোগ হবে ।

যোগাযোগ : o1755733009, 01755471632

iftar..happy faces

ইফতার ২০১৫: হাসিমুখগুলো

আয়োজনে:: Bangladesh Study Forum (BDSF)

এবারের ইফতার উপলক্ষ্যে স্মরণ করছি আমাদের গতবারের ইফতার সন্ধ্যার কথা। একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা ছিল সেটি। আশা করি এবারও তার মতো হবে এবং সেটিকে ছাড়িয়ে যাবে।

ইফতার শেষে সাফার নেতৃত্বে আরামে দাড়াই!

ইফতার ২০১৫: ইফতার শেষে সাফার নেতৃত্বে আরামে দাড়াই!

The post আজ বিডিএসএফ ইফতার সন্ধ্যা appeared first on Bangladesh Study Forum.

Viewing all 635 articles
Browse latest View live